Image description

হংকংয়ের কাছে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে হেরেছে বাংলাদেশ। ৩-৩ ড্রয়ের দিকে ম্যাচ যখন এগোচ্ছিল, শেষ মুহূর্তের গোলে হারতে হয় দলকে। তবে এই ম্যাচে ৪ গোল হজম করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন মিতুল মারমাও। 

কেন এমন হলো মিতুলের, সেটা জানিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। এদিকে হামজা চৌধুরী আর শমিত সোমের বাংলাদেশ দলে অন্তর্ভুক্তির প্রভাব নিয়েও নিজের মতামত জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ ম্যাচটা হেরেছে নিজেদের ভুলে। ৩টি গোল রীতিমতো উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। তবে এরপরও গোলরক্ষকের নৈপুণ্য বাঁচিয়ে রাখতে পারত দলকে। কিন্তু মিতুল মারমাও ছিলেন নিস্প্রভ।

প্রথম গোলে এভেরতন কামারগো শটটা নিয়েছিলেন দুর্বল। তবে স্বাভাবিক রিফ্লেক্স দেখাতে পারলেই বলটা ঠেকিয়ে দিতে পারতেন মিতুল। এরপর শেষ গোলে যখন তার চোখের সামনে দিয়ে এল মাঝে থাকা রাফায়েল মেরকেজের কাছে, তার আগেই বলটা কবজায় নিয়ে নিতে পারতেন মিতুল। সেটা হলেও হারটা ঠেকানো যেত। তবে তিনি তাও করতে পারেননি। ফলে বাংলাদেশ ম্যাচটা শেষ করেছে হার নিয়ে।

আমিনুল জানালেন, মিতুলের সিদ্ধান্তহীনতা ভুগিয়েছে দলকে। তিনি বলেন, ‘গোলকিপার যদি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তটা নিতে পারত, তাহলে হয়তো ফলটা ভিন্ন হতে পারত। আমার মনে হয়েছে, আমাদের গোলকিপার কিছুটা হলেও নার্ভাস ফিল করেছে।’

ম্যাচের শুরু থেকেই কোচ হাভিয়ের কাবরেরা ছিলেন সমালোচনার মুখে। শমিত সোম, জায়ানদের বেঞ্চে রেখে ম্যাচ শুরু করেছিলেন কোচ। এরপর ম্যাচ হারের পর তার সমালোচনার তোড় কেবল বেড়েছেই। 

তবে আমিনুল পাশে দাঁড়াচ্ছেন কাবরেরার। তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু গতানুগতিক কথার মধ্যে আছি। হারলে সবাই কোচকে দোষ দেয়, জিতলে বলে সবাই মিলে জিতেছি। হেরে গেলে সমালোচনা থাকবেই। তবে এটাকে ইতিবাচকভাবেও দেখা যায়।’

একাদশ নিয়েও তিনি পক্ষ নিলেন কাবরেরারই। তিনি বলেন, ‘কোচ সব সময়ই চায় তার বেস্ট ইলেভেন খেলাতে। কিন্তু টিম হেরে গেলে দোষটা এসে পড়ে কোচের ঘাড়ে। আসলে সঠিক সময়ে খেলোয়াড়েরা ক্লিক করতে না পারলেই সমস্যা হয়।’