
ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা বল বাউন্ডারি পার করছেন আর তাতে ক্রমশই বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন ধূসর হয়ে আসছিল। নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেও হারই সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের। ইংল্যান্ডকে জয়ের হাসি এনে দিয়েছেন হিদার নাইট। অবশ্য, ম্যাচের গল্পটা অন্যরকম হলেও হতে পারতো যদি আম্পায়ারের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের পক্ষে এলে।
শূন্য রানে নাইটের ক্যাচ নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক জ্যোতি। আউটের সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ারও। তবে যথেষ্ট প্রমাণ না পাওয়ায় তৃতীয় আম্পায়ার সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দিলে বেঁচে যান নাইট। এরপর ১৩ রানে আবারও নাইটের ক্যাচ মুঠোবন্দি করেন স্বর্ণা আক্তার। কিন্তু টিভি আম্পায়ার ভারতের গায়াত্রী ভেনুগোপালান এবারও একই কারণে আউট দেননি। ম্যাচের পর খোদ নাইটই জানিয়েছেন, তিনি নিজেরও ভেবেছিলেন আউট হয়ে গিয়েছিলেন।
আম্পায়ার গায়ত্রী ভেনুগোপালান স্বর্ণার নেওয়া সেই ক্যাচ বিশ্লেষণ করে জানান, ‘বেশ অস্পষ্ট দৃশ্য’ এবং ‘বলটি স্পষ্টভাবে’ দেখতে পাচ্ছেন না। সেই যুক্তি দেখিয়ে তিনি প্রথমে অন-ফিল্ড আম্পায়ারের দেওয়া আউটের সিদ্ধান্ত বদলে দেন। নট আউট জানিয়ে তৃতীয় আম্পায়ার জানান, ‘বলের নিচে ফিল্ডারের হাত/আঙুল থাকা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলা যাচ্ছে না।’
এর আগে, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ১৭৮ রানে অলআউট হয়। শেষদিকে ঝড় তোলেন রাবেয়া খান। মাত্র ২৭ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে চারটি চার আর একটি ছক্কার শট খেলেন তিনি। বাংলাদেশের পক্ষে আট-নয়-দশ নম্বরে নেমে খেলা ব্যাটারদের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটের (১৫৯.২৫) ইনিংস। তার ক্যামিওতেই লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
১৭৯ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে ইংল্যান্ড। প্রথম ওভারেই অ্যামি জোন্সকে ফিরিয়ে দেন মারুফা আক্তার। একই ওভারে হেথার নাইটের বিপক্ষে করা এলবিডব্লিউর আবেদনটিও ডিআরএসে উল্টে গেলে হতাশা ঝরে বাংলাদেশ শিবিরে। কিন্তু সেই নাইটই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন। শূন্য রানে জীবন পাওয়া নাইট দলকে ধরে রাখেন এক প্রান্তে। ১১১ বল খেলে ৭৯ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন তিনি।