Image description

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল থেকে ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে লড়বেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় মোছা. নার্গিস খাতুন।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান প্যানেল ঘোষণা করেন।

নার্গিস রাবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ২০১৪ সাল থেকে পেশাদার ফুটবলার হিসেবে খেলেন নার্গিস। ক্যাম্পিংয়ের সময় কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে হতো তাকে। সপ্তাহে একদিন মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমতি মিলত। নিয়মকানুনের মধ্যে থেকে নার্গিস তাই তার সবটুকু মনোযোগ ফুটবলে ঢেলে দিতে চেষ্টা করেছেন।

বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল ছাড়াও অনূর্ধ্ব-১৪, অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় নারী দলের হয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। এ ছাড়া বসুন্ধরা কিংস নারী দলের হয়ে খেলেছেন।

নার্গিস খাতুন বলেন, ছাত্রদল আমাকে তাদের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এ জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। ছাত্রদল নারীদের সম্মান করে, ক্রীড়াকে উৎসাহিত করে। তাদের প্যানেলে যুক্ত হয়ে ভালো লাগছে৷

তিনি আরও বলেন, আমি খুব কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দের সমস্যা এবং তাদের প্রাপ্যতা বুঝে না পাওয়ার বিষয়গুলো খেয়াল করেছি। একজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করে প্রতিষ্ঠানের সম্মান অর্জনে ভূমিকা রাখার জন্য। কিন্তু তারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন।

এ ফুটবলার বলেন, আমি অনেক খেলোয়াড়দের দেখেছি যাদের সেই সক্ষমতা আছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করার যদি তারা সুযোগ-সুবিধা পায়। অনেক মেয়েকে দেখেছি যারা খেলতে ইচ্ছুক কিন্তু খেলার সেরকম সুযোগ পাচ্ছে না।

নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীদের জন্য কী করতে চান এমন প্রশ্নের উত্তরে নার্গিস বলেন, শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়কে খেলাধুলায় প্রতিনিধিত্ব করানো, নিয়মিত প্র্যাকটিসের জন্য মেয়েদের জিমনেসিয়ামের মাঠ পুনরায় চালু করা, প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট এবং হলে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, প্রতিটি হল বিভাগ এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় ক্রীড়ার আলোকে আলোকিত করাসহ খেলোয়াড়রা যাতে তাদের প্রাপ্যতা এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন সে বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে চাই।