
আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র সরবরাহের প্রলোভনে একাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে প্রতারিত করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে বনানী থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ও আটটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, পান্না পুনম হাওলাদার ওরফে কেয়া ও মো. মামুন খান।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বনানী থানার ‘অ্যামাজন লিলি লেক ভিউ রেসিডেন্স’ আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
বনানী থানা সূত্রে জানায়, ভিকটিম মো. নাদিত হাসান রকি কুইন গ্লোবাল কনসালট্যান্ট অ্যান্ড আইইএলটিএস প্রতিষ্ঠানে কোচিং করত। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আসামিরা তার এবং অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইইএলটিএস পরীক্ষায় পাস করার জন্য প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র সরবরাহের প্রস্তাব দেন। সরল বিশ্বাসে ভিকটিম আসামিদের কথায় বিশ্বাস করে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা প্রদানে সম্মত হন। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন যে, আসামিরা প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ১ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত গ্রহণ করেছেন।
গত ৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বনানী এলাকার ‘অ্যামাজন লিলি লেক ভিউ রেসিডেন্স’ নামক আবাসিক হোটেলে ভিকটিম হাসান রকি তার বন্ধু তাবিবুল ইসলামসহ অন্যান্য পরীক্ষার্থীরা আসামিদের সামনে উপস্থিত হন এবং টাকা প্রদান করেন। রাতে আসামিরা কয়েকটি প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র সরবরাহ করেন। কিন্তু পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে ভিকটিম দেখতে পান যে, আসামিদের দেওয়া উত্তরের সঙ্গে প্রশ্নপত্রের মাত্র কয়েকটি প্রশ্নের মিল রয়েছে। পরীক্ষা শেষে হোটেলে ফিরে টাকা ফেরত চাইলে আসামিরা তা অস্বীকার করেন এবং বিভিন্নভাবে হুমকি দেন।
মামলা রুজুর পর বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ, নিবিড় তদন্ত ও প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে শনিবার রাতে বনানী থানা পুলিশ ওই আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন বলে জানানো হয়।