Image description

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের, অন্তরালে চলে যান সরকারের শীর্ষ পদে থাকা ব্যক্তিরাও। তাই দৃশ্যত ৫ আগস্টই নড়ে যায় নাজমুল হাসান পাপনের অটল সিংহাসন। সে সময়কার ক্রীড়ামন্ত্রী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসানকে গত এক বছরে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তবে ২১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হয়ে যাওয়া বিসিবি’র পরিচালকদের সভায় গৃহীত হয় তার পদত্যাগপত্র। একই বৈঠকে নতুন বোর্ড সভাপতি নির্বাচিত হন ফারুক আহমেদ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় দুজন পরিচালক মনোনয়ন পান বিসিবি’র পরিচালনা পর্ষদে, একজন ফারুক আহমেদ ও অন্যজন নাজমুল আবেদীন ফাহিম। ২৯ মে ২০২৫ তারিখে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ফারুকের মনোনয়ন প্রত্যাহার করলে ফের শূন্য হয় বিসিবি সভাপতির পদ, ৩০ মে সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। যে পদে ১২ বছর ধরে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি, সেই পদে ১ বছরের ভেতর ৩টি পরিবর্তন। এই পথপরিক্রমায় অনেক পরিবর্তনই এসেছে দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে, তবে একই সঙ্গে কিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি ১ বছরেও। যেমন ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে কারা বিসিবি’র অফিস থেকে নথি গায়েব করেছে তার কোনো কূলকিনারা হয়নি ১ বছরেও। আবার পাপনের সময়ের অনেক অপকর্মের সাক্ষী বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি সুজন এখনো স্বপদে বহাল।

ফারুক আহমেদ সভাপতি হওয়ার পর বেশ কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রথমে পূর্বাচলে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের টেন্ডার বাতিল করেন। বিতর্কিত কোচ চ-িকা হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করা হয় তার সময়ে। গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে হাথুরুসিংহেকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয় এবং তার উত্তর সন্তোষজনক না হওয়াতে এই শ্রীলঙ্কান কোচকে চুক্তির মেয়াদপূর্তির ৫ মাস আগেই বরখাস্ত করে বিসিবি। একই সঙ্গে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় ফিল সিমন্সকে। বিসিবি’র গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে চেয়েছিলেন ফারুক, কমিয়ে আনতে চেয়েছিলেন ঢাকার ক্লাবগুলোর ক্ষমতা। কারণ ঢাকার ক্লাব কর্তাদের হাতে একরকম জিম্মিই হয়ে আছে দেশের ক্রিকেট। তবে ফারুকের এই চাওয়া বয়ে আনে উলটো ফল। ধর্মঘটে যায় ঢাকার ক্লাবগুলো, থেমে যায় প্রথম বিভাগ ক্রিকেট। অবশেষে ক্লাব প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর ক্লাব কোটায় কাউন্সিলরদের সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বিসিবি, নির্ধারিত তারিখের ৯ দিন পর মাঠে গড়ায় প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ। এছাড়া দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা তৃতীয় বিভাগ বাছাই প্রতিযোগিতা ফের শুরু হয় ফারুকের সময়েই। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতনও বেড়েছে তার সময়ে।

বিসিবিতে আর্থিক অনিয়ম বের করার জন্য স্বাধীন আর্থিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগের কথা দায়িত্ব গ্রহণের ১ সপ্তাহের মাথাতেই বলেছিলেন ফারুক। ‘আমরা একটি স্বাধীন অডিট ফার্ম খুব শিগগিরই নিয়োগ দেব। শীর্ষ চার ফার্মের মধ্যে একটি তারা অডিট করবে। দুর্নীতি যদি হয়, তাহলে নিশ্চয়ই দুর্নীতি দমন কমিশন সেখানে হস্তক্ষেপ করবে। তবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, দুর্নীতি হয়েছে কি না বা কতটুকু বা কী মাত্রায় হয়েছে, এটা খুঁজে বের করা’ ৩০ আগস্ট ২০২৪ তারিখে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে বলেছিলেন সাবেক বিসিবি সভাপতি। কিন্তু নিজের সময়কালে কোনো নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে যেতে পারেননি ফারুক, উলটো দুর্নীতির দায় নিয়ে সরে যেতে হয় তাকেই। ফারুকের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিসিবি’র বাকি পরিচালকরা। যার ফলে এনএসসি সরিয়ে দেয় ফারুককে, যদিও পরে ফারুকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পায়নি দুদক। বিসিবি’র তহবিল স্থানান্তরকে কেন্দ্র করে ফারুকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। ফারুক বিসিবি সভাপতি থাকাকালে তার উদ্যোগে বিসিবি তার ব্যাংকিং সম্পর্কগুলোর পুনর্মূল্যায়ন করে এবং কৌশলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেয় যে শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত ‘গ্রিন’ ও ‘ইয়েলো’ জোনভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই বোর্ড আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকবে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিসিবি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকগুলো থেকে ২৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে এবং এর মধ্যে ২৩৮ কোটি টাকা গ্রিন ও ইয়েলো জোনভুক্ত ব্যাংকগুলোতে পুনঃবিনিয়োগ করে। অবশিষ্ট ১২ কোটি টাকা বিসিবির বিবিধ পরিচালনা ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্ধারিত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। তাই ফারুকের বিরুদ্ধে আনীত দুদকের অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে ফারুক বিতর্কিত হয়ে ওঠেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের একাদশ আসরকে কেন্দ্র করে। অযোগ্যদের ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা প্রদান, ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক প্রদানে বিলম্ব, ম্যাচে ক্রিকেটারদের গড়াপেটার মতো সন্দেহজনক আচরণসহ নানান কারণে বিপিএলকে ঘিরে আরও বিতর্কিত হয় বিসিবির ভাবমূর্তি। এছাড়াও সাকিব আল হাসানকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে খেলে দেশের মাটি থেকে অবসর নেওয়ার সুযোগ করে দিতে না পারাটাও ফারুকের বড় একটি ব্যর্থতা।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলে বিসিবি সভাপতির পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন ফারুক। স্বপদে থাকার জন্য আইনি পথে হাঁটলেও প্রতিকার মেলেনি। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কেন এনএসসি এই কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়, ‘বিপিএল নিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে একটা তথ্য অনুসন্ধান কমিটি করা হয়েছিল। সেই কমিটির রিপোর্ট তাকে সরানোর ক্ষেত্রে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল যে, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের যে দল (ফ্র্যাঞ্চাইজি) দেওয়া হচ্ছে, তারা টিম পরিচালনার মতো দক্ষ নয়। দিনশেষে সেটাই হয়েছে। তারা দেশি ও বিদেশি প্লেয়ারদের পারিশ্রমিক দিতে পারেনি। দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের মান ক্ষুণœ হয়েছে। এগুলোকে কি আপনি ব্যর্থতা বলবেন না।’ ফারুকও সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘ওনার (ক্রীড়া উপদেষ্টা) অফিস থেকেই তখন আমাকে নির্বাচনের জন্য ‘গো এহেড’ দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, আমি নির্বাচনে অংশ নিলে তাদের কোনো সমস্যা নেই, আমি যেন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিই। পরে হয়তো তারা উপলব্ধি করেছে, আমি তাদের স্বার্থ দেখব না। তাই সরিয়ে দিয়েছে।’’ দুই পক্ষের কথাতেই স্পষ্ট মতের মিল না হওয়াতেই ফের বিসিবি সভাপতি পদে বদল।

বাংলাদেশে ক্রিকেট যখন জনপ্রিয় খেলা হতে শুরু করেছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছে, ক্রিকেট প্রশাসনেও সরকারঘনিষ্ঠ মানুষেরা ধীরে ধীরে জায়গা করে নিয়েছেন। আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং নাজমুল হাসান, দীর্ঘদিন ধরে বিসিবি সভাপতির পদে থাকা এই দুজন ছিলেন আওয়ামী সরকারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং প্রভাবশালী সাংসদ ও মন্ত্রী। বিসিবি অর্থনৈতিকভাবেও স্বাবলম্বী থাকায় এনএসসি থেকে অনুদান গ্রহণেরও প্রয়োজনীয়তা ছিল না। যে কারণে ক্রীড়ামন্ত্রী/ প্রতিমন্ত্রী বা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কখনোই দেশের ক্রিকেট প্রশাসনে খুব একটা মুখ্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেনি। বিসিবি’র ২৫ জন পরিচালকের ভেতর মাত্র ২ জন মনোনীত হয়ে আসেন এনএসসি’র তরফ থেকে। কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের বিসিবিতে বাড়তে শুরু করেছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্র্তৃত্ব, যার উদাহরণ ফারুকের বিদায় এবং বুলবুলের আগমন।

অস্ট্রেলিয়া থেকে এসে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান। দায়িত্ব নিয়ে তিনি জানান, তার লক্ষ্য- ‘টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ট্রিপল সেঞ্চুরি’। বাংলাদেশের ক্রিকেটে কাঠামোগত ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন আইসিসির ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে আসা বুলবুল। টেস্ট মর্যাদাপ্রাপ্তির ২৫ বছর পূর্তিতে বুলবুল দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলায় গিয়েছেন, ভেন্যু দেখেছেন, খেলোয়াড়দের কথা শুনেছেন। বিপিএলকে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য বিদেশের স্পোর্টস কনসালটেন্ট নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন, আন্তর্জাতিক ম্যাচের টিকিট বিক্রি অনলাইনে উন্মুক্ত করেছেন, একটি মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছেন যারা বিসিবির বিদ্যমান কাঠামো পর্যালোচনা করবে। সবচেয়ে বড় যেসব সিদ্ধান্ত এসেছে তা হলো মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কিউরেটরের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসা গামিনি ডি সিলভাকে। তার জায়গায় বিসিবি ফিরিয়ে এনেছে টনি হেমিংকে। অতীতে এই অস্ট্রেলিয়ানকে বাংলাদেশে আনলেও কাজে লাগাতে পারেনি বিসিবি, তাকে ফিরিয়ে এনে হেড অব টার্ফ ম্যানেজমেন্ট পদে বসানো হয়েছে। দুর্নীতি দমন বিভাগে বিসিবি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের সাবেক মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শালকে। পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে স্বল্পমেয়াদি ক্যাম্প পরিচালনা করতে এসেছেন জুলিয়ান উড।

পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশের জাতীয় দলের নেতৃত্বেও। শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর টেস্ট অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অধিনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে অন্য কাউকে। মূলত ওয়ানডে অধিনায়কের পদ থেকে তাকে আচমকা সরিয়ে দেওয়ার অভিমানেই শান্ত’র এমন সিদ্ধান্ত। ওয়ানডে অধিনায়ক করা হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজকে। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব পেয়েছেন লিটন দাস। ২০২৪ সালে তিন সংস্করণেই অধিনায়ক ছিলেন শান্ত। পরের বছর কোনো সংস্করণেই তিনি নেতৃত্বে নেই।

অস্থিরতা আর পরিবর্তন হাত ধরাধরি করে চলে। বিসিবিতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ কাঠামোয় এসেছে বেশ কিছু বদল। শাহরিয়ার নাফীসকে ক্রিকেট অপারেশনস বিভাগ থেকে বদলি করা হয়েছে গেম ডেভেলপমেন্টে, হাবিবুল বাশারকে নারী ক্রিকেটের ইনচার্জ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের প্রধান হয়েছেন মাহবুব আনাম। এমন অনেক পরিবর্তন যেমন হয়েছে, তেমনি লম্বা সময় ধরে ফাঁকা পড়ে আছে জাতীয় নির্বাচকম-লীর তিন নম্বর সদস্যের জায়গাটাও। হান্নান সরকারের পদত্যাগের পর গাজী আশরাফ হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গী হওয়ার জন্য এখনো কাউকে খুঁজে পায়নি বিসিবি।

ঘনিয়ে আসছে বিসিবি’র সভাপতি নির্বাচনের সময়। সবকিছু ঠিকঠাক চললে এই বছরের শেষভাগে এসে হয়তো আবার অন্য কাউকে দেখা যাবে বিসিবি’র শীর্ষ পদে। নাট্যমঞ্চে দেখা মিলবে নতুন সব চরিত্রের। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিসিবি’তে অনেক চরিত্রের আগমন এবং প্রস্থান ঘটলেও বৈশিষ্ট্যগুলো আগের মতোই। তাই তো বাংলাদেশ ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে ১০ নম্বরে আর টেস্ট র‌্যাংকিংয়ে ৯ নম্বরে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার সময় অবস্থান যা ছিল, দীর্ঘদিনের পথপরিক্রমায় কোষাগারে টাকা বাড়লেও ক্রিকেট রয়ে গেছে আগের জায়গাতেই।