Image description

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সাবেক সভাপতি ও ডাকসু নির্বাচনের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম বলেছেন, দুঃখজনকভাবে রাজনীতি কিংবা রাজনীতির বাইরে ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ এখনো গড়ে উঠেনি। অব্যাহত কটূক্তি, প্রোপাগান্ডা, বিদ্বেষমূলক প্রচার, সাইবার বুলিং ও ট্যাগিংয়ের শিকার হচ্ছেন নারীরা।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ বিষয়ে মন্তব্য করেন তিনি। 

ফেসবুক স্ট্যাটাসে সাদিক কায়েম বলেন, এবারের ডাকসুতে রাজনৈতিক বলয়ের বাইরেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী প্রার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জাতির হাল ধরার জন্য জুলাই প্রজন্মের এগিয়ে আসার জরুরত বিবেচনায় এটি নিঃসন্দেহে অনেক বেশি আশাব্যঞ্জক। কিন্তু, দুঃখজনকভাবে রাজনীতি কিংবা রাজনীতির বাইরে ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ এখনো গড়ে উঠেনি। অব্যাহত কটূক্তি, প্রোপাগান্ডা, বিদ্বেষমূলক প্রচার, সাইবার বুলিং ও ট্যাগিংয়ের শিকার হচ্ছেন নারীরা।

তিনি বলেন, তাসনিম জারা, ফাতিমা তাসনিম জুমা, সাবিকুন্নাহার তামান্না, উম্মে ছালমা থেকে ডান-বাম ঘরানার কেউই রেহাই পাচ্ছেন না এই ব্যাধি থেকে। এই অব্যাহত অপপ্রচারের ফলে অনেক নারী শিক্ষার্থী এখনো রাজনীতিতে ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।

নারী শিক্ষার্থীদের অবদান তুলে ধরে সাদিক বলেন, চব্বিশের জুলাই বিপ্লবের সফলতার অন্যতম কারিগর আমাদের ছাত্রী বোনেরা। তাদের সাহসী অবদান ও দুর্নিবার নেতৃত্ব আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছে। কিন্তু, আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নারীরা কখনোই যথাযথভাবে অংশগ্রহণের উদ্দীপনা পাননি।

সবশেষে সাদিক বলেন, বিপ্লব-পরবর্তী ডাকসু নির্বাচনে আমাদের অন্যতম প্রধান অঙ্গীকার—এমন একটি রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা, যেখানে নারীরা মুক্তভাবে ও আত্মবিশ্বাসের সাথে নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রেখেই রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন। এ যাত্রা কণ্টকমুক্ত নয়। কিন্তু, প্রতিজ্ঞা করছি, নারীদের জন্য একটি নিরাপদ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার এই পথযাত্রায় আমরা থামব না।