
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ‘দক্ষিণপন্থার জুজুর ভয় দেখিয়ে দেশে ইসলামপন্থিদের কোণঠাসা করার নতুন পাঁয়তারা চলছে, কিন্তু এভাবে আর জনগণকে বোকা বানানো যাবে না।’
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জুলাই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান: প্রত্যাশা, প্রাপ্তি ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে এ সেমিনারে ‘২য় স্বাধীনতার শহীদ ও আহত যারা’ শীর্ষক বইয়ের ইংরেজি ও আরবি অনুবাদের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
নাসীরুদ্দীন বলেন, “শেখ হাসিনা সরকারের সময় আলেম সমাজের ওপর নির্যাতনকে বৈধতা দেওয়া হয়েছিল। এখন একটি দলের মহাসচিব ইসলামপন্থিদের ‘দক্ষিণপন্থি’ আখ্যা দিয়ে আবারও তাদের কোণঠাসা করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। যদি দক্ষিণপন্থিরাই ফ্যাসিবাদ পতনের পথ দেখায়, তাহলে সমস্যা কোথায়?”
তিনি আরও বলেন, “গত ১৫ বছরে বহু মানুষ গুম ও খুন হয়েছেন। মুসলমানদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে ‘জঙ্গি’ তকমা লাগানো হয়েছে। ইসলামের নামে রাজনীতি করা যাবে না—এমন ধারণা বুদ্ধিজীবী ও বিদেশি চিন্তাশীল মহল থেকে এসেছে।”
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক অভিযোগ করেন, “রাতে মুসলমানদের ধরে নিয়ে যাওয়া হতো, ইমামদের খুন করা হতো আর সেটিকে বৈধ বলা হতো। এখন আবার দক্ষিণপন্থা নামক ট্যাগ দিয়ে একই রকম নির্যাতনের ক্ষেত্র তৈরি করা হচ্ছে।”
ভবিষ্যতের রাজনীতিতে সৎ, সচেতন ও নিপীড়িত জনগণের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও টেন্ডারবাজদের বিরুদ্ধে রাজপথে তীব্র লড়াই হবে। মজলুমদের মতো সকল সচেতন নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
তিনি বলেন, “যেভাবে পাকিস্তানে ইমরান খান দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে কারাবরণ করেছেন, ঠিক তেমনিভাবে বাংলাদেশেও জনগণ জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। জনগণের আন্দোলনের খবর মিডিয়ায় না এলেও এই রাষ্ট্রযন্ত্র ভাঙা হবে।”
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী উপস্থিত তরুণদের এই লড়াইয়ে থাকার আহ্বান জানান।
সারাবাংলা