
হঠাৎ করে ধসে পড়া বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে বাংলাদেশের ম্যাচ হেরে যাওয়ার উদাহরণ রয়েছে ভুঁড়ি ভুঁড়ি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের ইনিংস।
হাতে ৯ উইকেট নিয়ে আজ বাংলাদেশের ২০২ বলে দরকার ছিল ১৪৬ রান। ওভারপ্রতি রান দরকার ছিল ৪.৩৪। ব্যর্থতার চক্রে ঘুরপাক খেতে থাকা বাংলাদেশের জেতার সুবর্ণ সুযোগ ছিল এই ম্যাচে। কিন্তু দলটা যখন বাংলাদেশ, তখন যেকোনো মুহূর্তেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে। ৫ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারিয়ে লজ্জাজনক রেকর্ডটি এখন বাংলাদেশের হয়ে গেল। ওয়ানডেতে দ্বিতীয় থেকে অষ্টম উইকেট তাড়াতাড়ি পড়ার লজ্জাজনক রেকর্ডটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। ২০২০ সালে নেপালের বিপক্ষে ৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
২৪৫ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রথম ওভারেই ২ চার মারেন পারভেজ হোসেন ইমন। এই ম্যাচ দিয়েই ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছে ইমনের। তবে ইনিংসটা বেশি বড় করতে পারেননি তিনি। পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে আসিথা ফার্নান্দোকে তুলে মারতে যান ইমন। আকাশে দীর্ঘক্ষণ ভেসে থাকা বল তালুবন্দী করেন লঙ্কান উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিস। ওয়ানডে অভিষেকে ১৬ বলে ৩ চারে ১৩ রান করেন ইমন। ইমন ফিরলে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৪.৪ ওভারে ১ উইকেটে ২৯ রান। তিন নম্বরে এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তানজিদ তামিমের মতো যখনই বাজে বল পেয়েছেন, সেগুলোকে বাউন্ডারিতে পরিণত করেছেন শান্ত।
৫১ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নিলেন তামিম। সাবলীলভাবে খেলতে থাকা বাংলাদেশের এই ব্যাটার দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৭১ বলে ৭১ রানের জুটি গড়তে অবদান রেখেছেন। শান্ত-তামিমের জুটি ভেঙেছে রানআউটে। ১৭তম ওভারের তৃতীয় বলে মাহিশ তিকশানাকে ডিপ মিড উইকেটে ঠেলে দুই রান নিতে যান শান্ত। তবে শান্ত স্ট্রাইকপ্রান্তে ডাইভ দেওয়ার আগেই মিলান রত্নায়েকে ডিরেক্ট থ্রোতে স্টাম্প ভেঙে দেন। ২৬ বলে করেছেন ২৩ রান। আউট হওয়ার পর শান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তানজিদ তামিমের প্রতি।
শান্ত আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ১৬.৩ ওভারে ২ উইকেটে ১০০ রান। সফরকারীদের ইনিংসে মড়ক লাগার শুরুর এখান থেকেই। দুই স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও কামিন্দু মেন্ডিসের ঘূর্ণিতে মুহূর্তেই ২০.৫ ওভারে ৮ উইকেটে ১০৫ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। লঙ্কানদের ফিল্ডিংয়েরও তাতে অনেক বড় অবদান রয়েছে। যেখানে ১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে হাসারাঙ্গাকে কাভারের ওপর দিয়ে তুলে মারতে যান তানজিদ তামিম। মিড অফ থেকে উড়ে দুর্দান্ত ক্যাচ লুফে নিয়েছেন জানিথ লিয়ানাগে। ৬১ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৬২ রান করেন তানজিদ তামিম।