লিওনেল মেসিকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম দেওয়ার ঘোষণা কালই দেওয়া হয়েছিল। গত রাতে ছিল সে পুরস্কার হাতে তুলে দেওয়ার অনুষ্ঠান। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন নিজ হাতে মেসির গলায় পরিয়ে দিতেন এই পদক।
তবে তা সম্ভব হয়নি। লিওনেল মেসি সে অনুষ্ঠানে যে হাজিরই হননি! পুরস্কার নিতে আর সব প্রার্থীদের সবাই এসেছেন। কিংবদন্তি বাস্কেটবল খেলোয়াড় ম্যাজিক জনসন থেকে শুরু করে হিলারি ক্লিনটন, কেউই বাদ ছিলেন না। তবে মেসি এই অনুষ্ঠানে ছিলেন অনুপস্থিত।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও আট বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এখন মেজর লিগ সকারের অংশ। ২০২৩ সালে তিনি দুই বছরের জন্য যোগ দিয়েছিলেন লিগটির ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে।
মেসি গিয়েই সেখানকার ফুটবলে রীতিমতো তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে চলে এসেছে ফুটবল লিগটি। এবার দ্বিতীয় ফুটবলার ও প্রথম পুরুষ ফুটবলার হিসেবে তিনি ভূষিত হন মেডেল অফ ফ্রিডম পদকে।
তবে তাকে এ পুরস্কার শুধু ফুটবলীয় কারণে দেওয়া হচ্ছে, বিষয়টা এমন নয়। খেলার বাইরে দাতব্য কাজেও মেসির সম্পৃক্ততা বেশ। তিনি ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত, তারপর তার লিওনেল মেসি ফাউন্ডেশনও বিশ্বজুড়ে শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা করে। সমাজে এমন অবদানের জন্যই মূলত এই পুরস্কার পাচ্ছেন তিনি।
এ বছর এ পুরস্কার পেয়েছেন কিংবদন্তি বাস্কেটবলার ম্যাজিক জনসন, সমাজকর্মী বনো, গায়ক ইউটু, সাবেক সেক্রেটারি অফ স্টেট হিলারি ক্লিনটন সহ আরও ১৯ জন। তাদের সবাই গত রাতে বাইডেনের কাছ থেকে এ পদকটি নিয়েছেন। তবে এই অনুষ্ঠানে মেসির উপস্থিতি ছিল না।
তার প্রতিনিধিরা জানান, তার একই সময়ে অন্য একটি কাজ ছিল, যা আগে থেকেই তার সূচিতে ছিল। মূলত এ কারণেই মেসি যেতে পারেননি বাইডেনের এই অনুষ্ঠানে।
ইন্টার মায়ামির ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হোয়াইট হাউস ফিফাকে জানিয়েছে, যারা ডিসেম্বরের শেষে ক্লাবকে জানিয়েছিল যে লিওকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হবে।’
‘লিও ক্লাবের মাধ্যমে, হোয়াইট হাউসে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন যে, তিনি গভীরভাবে সম্মানিত এবং এই স্বীকৃতি পাওয়া একটি বিশেষ অর্জন। কিন্তু সাংঘর্ষিক সময়সূচি ও পূর্বের প্রতিশ্রুতির কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না।’
‘তিনি এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে তিনি অদূর ভবিষ্যতে দেখা করার সুযোগ পাওয়ার আশা করছেন।’