Image description

 ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দৈনিক আমার দেশ-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে অবশ্যই ফিরিয়ে আনতে হবে, ভারতকেও ফেরত দিতে হবে। যতদিন পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি না করা হবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আমরা যেন হাসিনার বিচার দেখে যেতে পারি।

সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে রুহুল আমিন গাজী ফাউন্ডেশন উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাংবাদিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন গাজীকে মিথ্যা মামলায় জেলখানায় রেখে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এটা সুপরিকল্পিত হত্যা। রুহুল আমিন গাজীসহ বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টু, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রহীমকে কারাগারে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনায় মাহমুদুর রহমান বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান। সেই তদন্তে চিকিৎসক অন্তর্ভুক্ত রাখার পরামর্শ দেন তিনি । ইউনূস সরকারসহ ভবিষ্যতে যারা সরকারে আসবে, তাদের প্রতি এ দাবি অব্যাহত রাখার কথা বলেন তিনি।

স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, পেশাজীবী হিসেবে রুহুল আমিন গাজীর সঙ্গে আমার ২৫ বছরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এ ছাড়া ফ্যাসিবাদের রোষানলে দৈনিক আমার দেশ বন্ধ ও সম্পাদককে গ্রেপ্তারের পর সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী বলিষ্ঠ সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন। বিশেষ করে ২০১৩ সালের ২০ অক্টোবর ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আমার দেশ খুলে দেওয়া ও সম্পাদকের মুক্তি দাবিতে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে পেশাজীবীদের সমাবেশের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি রুহুল আমিন গাজীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন।

এ ছাড়াও টিপাইমুখ বাঁধ ও তিতাস নদীর অভিমুখে দুটি লংমার্চে অংশগ্রহণের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়ে রুহুল আমীন গাজী ছিলেন সর্বদা সোচ্চার।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পেশাজীবী নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, রুহুল আমিন গাজী ছিলেন সত্যের সঙ্গে আপসহীন। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

মরহুম সাংবাদিকের সহধর্মিণী ও রুহুল আমিন গাজী ফাউন্ডেশনের সভাপতি লুৎফুন নাহার গাজীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পেশাজীবী পরিষদ নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিশেষ অতিথি জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আমার দেশ-এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সেক্রেটারি খোরশেদ আলম, বিএফইউজের নেতা, খায়রুল বাশার, শহিদুল ইসলাম, এরফানুল হক নাঈম, সাংবাদিক নেতা মোস্তফা কামাল মজুমদার, হাসনাত করিম পিন্টু, মরহুম রুহুল আমিন গাজীর ছেলে ও ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি আরফান আবরার আমিন, মেয়ে তাহিয়া সালসাবিল আমিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ডিইউজের কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আলমগীর হোসেন।

উল্লেখ্য, পারিবারিক উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত রুহুল আমিন গাজী ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিনের স্মৃতি সংরক্ষণের পাশাপাশি সাংবাদিকদের কল্যাণে এ ফাউন্ডেশন অবদান রাখবে।