কার্লো আনচেলত্তির অধীনে ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচেই প্যারাগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করল ব্রাজিল। রিয়াল মাদ্রিদের সাদা জার্সিতে বিশ্বমানের তারকায় পরিণত হওয়া ভিনিসিয়ুস জুনিয়র জাতীয় দলের হয়ে তার নিষ্প্রভতা কাটিয়ে এই ম্যাচে একমাত্র গোলটি করেন।
ব্রাজিলের জাতীয় দলে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র বরাবরই কিছুটা ম্লান ছিলেন। তবে রিয়াল মাদ্রিদে তাকে বিশ্বমানের তারকায় পরিণত করা গুরু কার্লো আনচেলত্তি ব্রাজিলের দায়িত্ব নেওয়ার পরই যেন তার ছোঁয়া পেলেন ভিনিসিয়ুস। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে এই ম্যাচে তার একমাত্র গোলটি আনচেলত্তির আগমনকে সার্থক করে তুলল। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মিনিটে গোলটি করেন ভিনিসিয়ুস। যদিও ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ৪৮তম স্থানে থাকা প্যারাগুয়ের বিপক্ষে এমন জয় ব্রাজিল ভক্তদের পুরোপুরি তৃপ্তি দিতে পারেনি।
এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব ব্রাজিলের জন্য একেবারেই ভালো যাচ্ছিল না। প্যারাগুয়ে ম্যাচের আগে শেষ ৫ ম্যাচে তাদের জয় ছিল মাত্র একটি। আনচেলত্তি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ম্যাচেও ব্রাজিলের পারফরম্যান্সে দাপট ছিল না। তবে বুধবার (১১ জুন) ভোরের ম্যাচে ব্রাজিলকে অনেকটাই আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গেছে। প্যারাগুয়ের দুর্বল রক্ষণ হোক বা নিজেদের আক্রমণভাগের সক্ষমতা, ব্রাজিলের খেলায় আজ অন্তত সমর্থকদের চোখ ভরার কথা। ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই আনচেলত্তির শিষ্যরা প্যারাগুয়েকে ভুগিয়েছে। শুরুর দিকে ম্যাথিয়াস কুনহা, রাফিনিয়া এবং ভিনিসিয়ুসকে দারুণভাবে সাহায্য করেছেন।
ম্যাচের ২২ থেকে ২৮ মিনিটের মধ্যে ব্রাজিল অন্তত তিনটি ভালো সুযোগ হারায়। শেষ পর্যন্ত বহু প্রতীক্ষিত গোলটি আসে ৪৪ মিনিটে। ম্যাথিয়াস কুনহা ছিলেন এই গোলের উৎস। দলীয় বোঝাপড়ায় ডি-বক্সে বল পেয়ে তার কাটব্যাক পাস খুঁজে নেয় ভিনিসিয়ুসকে। প্যারাগুয়ে ডিফেন্সের বাধার মুখে পড়ে যেতে যেতেও ব্রাজিলের এই তারকা দারুণভাবে গোলটি করেন।
বিরতির পর ব্রাজিল বলের দখল ধরে রাখলেও গোল করার মতো আক্রমণ খুব বেশি তৈরি করতে পারেনি। উল্টো কাউন্টার অ্যাটাকে প্যারাগুয়ে অন্তত দুবার ব্রাজিল রক্ষণে ভয় ধরিয়েছিল। ৬০ মিনিটে অ্যান্তোনিও সানাব্রিয়ার শট ঠেকান ব্রাজিলের গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। ৭২ মিনিটে জুনিয়র আলোনসোর হেড বারের খানিক বাইরে দিয়ে চলে যায়।
শেষদিকে ব্রাজিলের একের পর এক আক্রমণ স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতার কারণে সাফল্যের মুখ দেখেনি। তাতে অবশ্য জয় পেতে কোনো অসুবিধা হয়নি ব্রাজিলের। এই জয়ের পর কনমেবল অঞ্চলের বাছাইপর্বে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে সেলেসাওরা। ১৬ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
