
বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের প্লেনটি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছু সময় পরই মেঘানীনগরের একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এ সময় এতে ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু সদস্যসহ মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন।
দুর্ঘটনার পর থেকেই ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চলছে। বিমানবন্দর এলাকার কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে এবং পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে। এখন পর্যন্ত হতাহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানানো হয়নি, তবে বহু হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়া বলেছে, দুর্ঘটনার বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে এবং যথাসময়ে আরও তথ্য জানানো হবে।
ভারতের সরকারি পতাকাবাহী উড়োজাহাজ সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া গত ১৫ বছরে একাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংস্থাটি তাদের নিরাপত্তা রেকর্ড উন্নত করার চেষ্টা করেছে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
- ভারতে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত, বহু হতাহতের শঙ্কা
বৃহস্পতিবারের আগে এয়ার ইন্ডিয়ার সবশেষ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০২০ সালে। সেসময় তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি ফ্লাইট কেরালার কোঝিকোড় বিমানবন্দরে বৃষ্টিভেজা রানওয়েতে অবতরণের সময় ছিটকে গিয়ে দুই ভাগ হয়ে যায়। এতে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার সময় আবহাওয়া ছিল অত্যন্ত খারাপ এবং দৃষ্টিসীমাও ছিল কম।
এর এক দশক আগে ২০১০ সালে আরও ভয়াবহ এক দুর্ঘটনায় পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি প্লেন। সেটি কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরু শহরের বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে ছাড়িয়ে একটি ঢালে পড়ে আগুন ধরে যায়। ওই ঘটনায় ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।