
পাকিস্তান সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের একটিতেও ওপেনিংয়ে ভালো জুটি গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ১৪ রানের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ওপেনিংয়ে এসেছিল ৪৪ রান। তবে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জ্বলে উঠলেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন। ৬৪ বল খেলে গড়লেন ১১০ রানের জুটি। তাতেই বাংলাদেশ জয়ের জন্য ১৯৭ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে বাংলাদেশকে।
এই সিরিজে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরও। টি-টোয়েন্টিতেও পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ। প্রথম ম্যাচে ১৬৪ রান করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে করেছিল আরও কম—১৪৪। তবে তৃতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটে ১৯৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড এই স্কোরে বড় অবদান আমিরাত সিরিজের সেঞ্চুরি করা পারভেজ হোসেন ইমনের। ৬টি চার ও ৩টি ছয়ে ২৭ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ইমন আউট হয়েছেন ৬৬ রান করে। তাঁর ৩৪টি বলের ইনিংসটির স্ট্রাইকরেট—১৯৪.১১।
ইনিংসের ১১তম ওভারে ফাহিম আশরাফের বলে ৩২ বলে ৪৪ রান করে তানজিম আউট হয়ে গেলে ভাঙে ওপেনিং জুটি। পরের ওভারেই শাদাব খানের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ৩৪ বলে ৪ ছক্কা ও ৭ চারে ৬৬ রান করা ইমনও ফিরে যান।
দুই ওপেনার আউট হয়ে গেলে কমে আসে রানের গতি। তিনে নামা লিটন দাস ও চারে নামা তাওহীদ হৃদয় চেষ্টা চালিয়ে যান, কিন্তু শুরুতে ছন্দ আর ধরে রাখা যায়নি। হৃদয় অবশ্য ২৫ বলে ৩৮ রান করে আউট হয়ে যান। ১৫তম ওভারে দল তুলে ফেলে ১৫০ রান।
১৬তম ওভারে বোলিংয়ে এসে আব্বাস আফ্রিদি মিতব্যয়ী ওভার করেন। সেটাই ছিল বাউন্ডারিহীন প্রথম ওভার। এরপর লিটনও (২২) ফিরেন হাসান আলীর বলে, আগের বলেই যিনি এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে দারুণ এক বাউন্ডারি মেরেছিলেন। লিটন-হৃদয়ের ৩২ বলে ৪৯ রানের জুটির পর ১৮তম ওভারে আব্বাস আলী শামীম হোসেন (৮) ও হৃদয়কে (২৫) ফিরিয়ে দেন। ৯ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন জাকের আলী। হাসান আলী ও আব্বাস আফ্রিদি নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।