তারকায় ঠাসা ফরচুন বরিশালের ব্যাটিং লাইন আপকে ১২৪ রানে থামিয়ে প্রাথমিক কাজটা সেরে রেখেছিলেন রংপুর রাইডার্সের বোলাররা। রংপুরের ব্যাটাররাও দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেদের কাজটা করলেন সুনিপুণভাবে। ১৫ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারালেও তৃতীয় উইকেটে অ্যালেক্স হেলস ও সাইফ হাসানের ১১৩ রানের অপরাজিত জুটিতে ৮ উইকেটের জয় পেল রংপুর।
বরিশালের বিপক্ষে আজকের জয় বিপিএলের একাদশতম আসরে রংপুরের টানা তৃতীয়। এর আগে প্রথম ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৪০ রানে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৩৪ রানে হারায় নুরুল হাসান সোহানের দল। আজ দলটি জয় পেয়েছে ৩০ বল বাকি থাকতেই।
আজ বৃহস্পতিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠান রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। প্রথম ম্যাচের মতো আসরের দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ নাজমুল হোসেন শান্ত (৯)। দলীয় ২৫ রানে শেখ মেহেদী হাসানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সদ্যই জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব ছাড়া এই ব্যাটার। ৪২ রানে দলের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে আউট হন তাওহিদ হৃদয়। ব্যাটিংয়ে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তামিম ইকবালও। নাহিদ রানার বলে সরাসরি বোল্ড হয়েছেন ১৮ বলে ২৮ রান করা এই ওপেনার।
৪৩ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে ৭৪ রান পর্যন্ত নিয়ে যান কাইল মেয়ার্স ও মুশফিকুর রহিম। এরপরই ঘটে সবচেয়ে বড় ছন্দপতন। ৭৪ থেকে ১০৬; এই ৩২ রানের মধ্যে ফিরে যান ৬ ব্যাটার। অথচ এই সময় বরিশাল খেলে ফেলে ৩৭ বল। ৭৪ রানের মাথায় মুশফিকের (১৩) পতনের পর একে একে ফিরে যান মেয়ার্স (১৫), ফাহিম আশারাফ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শাহিন আফ্রিদি ও তানভীর ইসলাম।
বরিশালকে ১২৪ রান পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কারিগর মোহাম্মদ নবী। আট নম্বরে নেমে ১৯ বলে ২১ রান করেন এই আফগান অলরাউন্ডার। এর মধ্যে নাহিদ রানার করা ১৮তম ওভারেই তুলে নেন ১৬ রান। পরের ওভারে আকিফ জাভেদের বলে নবী (১৯ বলে ২১) উইকেট দিয়ে এলে ১০ বল বাকি থাকতেই শেষ হয় বরিশালের ইনিংস।
৪ ওভারে ১৮ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট শিকার করে বরিশালের হয়ে সবচেয়ে সফল পাকিস্তানের স্পিনার খুশদিল শাহ। ২ উইকেট নেওয়া নাহিদ ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৩২ রান। একটি করে উইকেট তুলে নিতে সক্ষম হয়েছেন শেখ মেহেদী ও আকিফ।
জবাব দিতে নেমে ১৫ রানের মধ্যে অভিষিক্ত আজিজুল হাকিম তামিম ও তৌফিক খান তুষারকে হারায় রংপুর। দুইটি উইকেটই নেন বরিশালের অভিষিক্ত বোলার ইকবাল হোসেন ইমন। এরপর আর সাফল্যের মুখ দেখেনি বরিশালের বোলাররা। ১১৩ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেই ফেরেন হেলস ও সাইফ। ৪১ বলে ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন হেলস। আরেক পাশে ৪৬ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন সাইফ। ৬টি চারের সঙ্গে তিনিও হাঁকান ৩টি ছক্কা।