
টি-টোয়েন্টিতে মেহেদী হাসানের দেখা মেলে নিয়মিতই। আঁটসাঁট বোলিং আর কার্যকরী ব্যাটিংয়ে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। নতুন কিংবা পুরোনো, যেকোনো সময়ই তাঁর হাতে বল তুলে দিতে দ্বিধা করেন না অধিনায়ক। কিন্তু এবার বিসিবি তাঁর হাতে যে দায়িত্ব তুলে দিয়েছে, তা কিছুটা চমকজাগানিয়াই।
২০২৬ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত লিটন দাসকে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে অধিনায়ক করা হয়েছে। এ মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মেহেদী হয়েছেন সহ-অধিনায়ক। ঘরোয়া ক্রিকেটে এক দশকের ক্যারিয়ার তাঁর। কিন্তু কখনোই নেতৃত্বে ছিলেন না। জাতীয় দলেও কখনো ছিলেন না এমন কিছুর আলোচনায়।
হুট করে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে যাওয়ায় কেমন লাগছে? খুলনায় থাকা মেহেদী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে কাল বললেন গর্বই হচ্ছে তাঁর, ‘এ রকম আলাদা কোনো অনুভূতি নেই। তবে দেশের হয়ে এসব সুযোগ সচরাচর কেউ পায় না। সেদিক থেকে এটা গর্বের জায়গা, তাই ভালো লাগাটা তো আছেই।’ এরপরই জানালেন, নিজেও নাকি কখনো অধিনায়কত্ব নিয়ে চিন্তা করেননি।

দেশের হয়ে ৫৪ টি-টোয়েন্টি খেলে ওভারপ্রতি ৬.৫৩ গড়ে রান দিয়ে ৪৬ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী, ৩৮ ইনিংসে রান করেছেন ৩৬২। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন তিনি ‘অটোমেটিক চয়েস’।
কাল তাঁকে সহ-অধিনায়ক ঘোষণা করার সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমূল আবেদীন বললেন আরও কয়েকটি কারণও, ‘ওর যে অভিজ্ঞতা আছে, ট্যাকটিক্যাল জ্ঞান আছে, সেটা আমরা প্রায়ই দেখতে পাই। তা নিয়ে নির্বাচক, কোচসহ সবার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমাদের মনে হয়েছে, এই মুহূর্তে যদি তাকে এই সুযোগটা দিই, তাহলে দেখতে পারব, কীভাবে সে এটি প্রয়োগ করে।’
বিসিবির তুলে দেওয়া দায়িত্বের ভারটা বোঝেন মেহেদী। তাই তিনি কথার ফাঁকে বলেন, ‘এটা তো একটা দায়িত্ব। আসলে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন।’ কিন্তু নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা তো তাঁর তেমন নেই, বাইরে থেকে ভাবনাটা তেমন। মেহেদী অবশ্য বলেছেন ভিন্ন কথা, ‘অধিনায়কত্ব করিনি। কিন্তু সব সময় তো ইনভলভ থাকতাম যেকোনো খেলায়।’

টি-টোয়েন্টিতে মেহেদীর ক্যারিয়ারটা বেশ উজ্জ্বল। বাকি সংস্করণেও ৩০ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারকে দলে নেওয়ার কথা ওঠে প্রায়ই। ওয়ানডে ক্যারিয়ারটা থমকে আছে ১১ ম্যাচেই। তবে এসব কিছু বিসিবির হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন মেহেদী।
নেতৃত্ব নিয়েও তাঁর খুব দূরের ভাবনা নেই, আপাতত চোখ রাখতে চান সামনের দুই সিরিজে। সঙ্গে জানিয়েছেন নিজের ভাবনা, ‘আমি বা অন্য কেউ অধিনায়ক হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ না, দলের পারফরম্যান্সটা গুরুত্বপূর্ণ। দেখা যাক কী হয়, সামনে তো অনেক খেলা আছে।’