Image description

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান সভাপতি ও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি আসন্ন বোর্ড নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আগামী অক্টোবরেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যদিও নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না বিসিবি মহল।

 

ফারুক আহমেদ দায়িত্বে আসেন ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতায় আলোচিত ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে নাজমুল হাসানের পদত্যাগের পর। তখনকার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নাজমুল দেশত্যাগে বাধ্য হলে, বিশেষ পরিস্থিতিতে ফারুককে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।

তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নানা বিতর্ক ও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন তিনি। তার সঙ্গে এনএসসি থেকে নিয়োগ পাওয়া আরেক পরিচালক ও খ্যাতিমান কোচ নাজমুল আবেদিনের দ্বন্দ্ব নিয়ে একাধিকবার সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। পাশাপাশি ফারুকের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিং ও আর্থিক অনিয়মসহ নানা অভিযোগ উঠেছে, যা বিসিবিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য করেছে।

“আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা গল্প তৈরি করা হচ্ছে”—ফারুক

একান্ত সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দিনের "ঠিকানা" অনুষ্ঠানে ফারুক বলেন, “আমি মনে করি, বোর্ডের একটি চক্র যারা অতীতে দুর্নীতিতে যুক্ত ছিল, তারা এখনও সক্রিয় এবং আমাকে হেয় করার চেষ্টা করছে। তারা ভাবে, যদি চারটা মিথ্যা লেখা প্রকাশ পায়, আমি পদত্যাগ করে ফেলব। এটা পরিকল্পিত খেলা। এখন আমি মনে করি, এই লড়াইটা আমাকে করতেই হবে। আমি যদি সরে যাই, সমস্যার সমাধান হবে না। ”

তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত তার এই দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানেরই অংশ। তবে নির্বাচনী কৌশল বা পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি তিনি।

নতুন সরকার এলে কী হবে?

নতুন সরকার ক্ষমতায় এলে তার বর্তমান পদ ধরে রাখা সম্ভব হবে কি না, এমন প্রশ্নে কৌশলী জবাব দিয়েছেন ফারুক।

“এই বিষয়টা ভবিষ্যতের জন্য রেখে দিই। নির্বাচন যে কতটা জটিল, সেটা বোঝার জন্য সময় লাগবে। তবে এটুকু বলতে পারি—আমি যতদিন থাকি, ততদিন চেষ্টা করব ক্রিকেট থেকে দুর্নীতি মুছে ফেলার,” বলেন তিনি।

ফারুকের অতীত অভিজ্ঞতা

জাতীয় দলের হয়ে সাতটি ওয়ানডে খেলেছেন ফারুক। তিনি দুই দফায় বিসিবির প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেন—২০০৩ থেকে ২০০৭ এবং ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি নিজের কার্যকাল শেষ করার আগেই পদত্যাগ করেন, কারণ তিনি নির্বাচক প্যানেলের সম্প্রসারণে আপত্তি জানিয়েছিলেন।

সূত্র মতে, বিসিবির অভ্যন্তরে একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী নতুন প্রার্থী নিয়ে নির্বাচনে আসার পরিকল্পনা করছে। ফলে নির্বাচন নির্ধারিত সময়ের আগেই অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।