Image description
 

রশিদ লতিফ এগিয়ে রাখলেন ভারতকে। যুবরাজ সিংয়ের মতে, দুবাইয়ে বাড়তি সুবিধা পাবে পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক ম্যাচ নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের দুই সাবেক ক্রিকেটারের কথা-

রশিদ লতিফ

সম্ভাব্য ফেভারিটের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু করেছে ভারত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে বাজে সময় পেছনে ফেলে আসার পর পাঁচ স্পিনার নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল সাজিয়েছে তারা। পাঁচজনের দুজন পরিপূর্ণ অলরাউন্ডার। আমরা যদি ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দিকে ফিরে তাকাই, যেখানে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম, পাকিস্তান দলে ছিল চার স্পিনার। শোয়েব মালিক, হাফিজ, শাদাব ও ইমাদ ওয়াসিম। চারজনই অলরাউন্ডার। তারা দলে থাকলে আপনার আধিপত্য নিশ্চিত। হাতে তখন অনেক বিকল্প থাকে। এবার যা আছে ভারতের।

ইতিহাসে চোখ রাখলে দেখবেন ভারতের বোলিং সব সময় ভুগিয়েছে পাকিস্তানকে। ১৯৯২, ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০১১, ২০১৫ কিংবা ২০২৩ বিশ্বকাপ, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রতিবারই ভারতকে জিতিয়েছে বোলাররা। মানুষ ভাবে ভারতের ব্যাটিং বেশি ভালো। কিন্তু আমি এগিয়ে রাখব বোলিংকে। এবার আমাদের ভালো স্পিনার ও অলরাউন্ডার নেই।

 

ব্যাটিংয়েও একই চিত্র। বাবর আজম ফর্মে নেই। তার শূন্যতা পূরণের মতোও কেউ নেই। কিন্তু ভারতের বিরাট কোহলি ফর্মে না থাকলেও সমস্যা নেই। রোহিত, গিল, রাহুল, শ্রেয়াস ও হার্দিক আছে। কেউ না কেউ রান করবেই। তাদের গভীরতা অনেক বেশি। তাই টুর্নামেন্ট ও পাকিস্তান-ভারত ম্যাচে সম্ভাবনায় এগিয়ে ভারত।

যুবরাজ সিং

দুবাইয়ে ম্যাচ হওয়ায় পাকিস্তান বাড়তি সুবিধা পাবে। এখানে তারা অনেক ম্যাচ খেলেছে। কন্ডিশনও ভালো বোঝে তারা। মন্থর উইকেটে ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা অন্যতম সেরা। দুদলই ভালো স্পিন খেলে। ম্যাচ জেতানো ক্রিকেটার অবশ্যই আমাদের দলে বেশি। কিন্তু পাকিস্তান দলে এমন খেলোয়াড় কম থাকলেও ম্যাচ বের করে নিতে পারে একজনই।

ভারত-পাকিস্তান লড়াই শুধু বড় নামের খেলা নয়, প্রত্যাশার চাপ সামলে পরিস্থিতি বুঝে বিশেষ মুহূর্তে ভালো করাটাই আসল। যে দল এটা বেশি ভালোভাবে করতে পারবে, দিনশেষে তারাই জিতবে। এ এমন এক ম্যাচ, যা শুরুর পর সব পরিসংখ্যান অর্থহীন হয়ে যায়। তবে চাপের মুহূর্তে সে-ই বেশি ভালো করে, যার দক্ষতা বেশি। ফর্মও একটি ব্যাপার।

আমার মনে হয়, পাকিস্তানের বিপক্ষে সেরা ইনিংসটা খেলবে শুবমান গিল। সে একই সঙ্গে দক্ষ এবং ছন্দে আছে। বোলিংয়ে আমার বাজির ঘোড়া মোহাম্মদ শামি। পাকিস্তান দলেও বাবর, রিজওয়ান, শাহিন ও হারিসের মতো চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড় আছে। চাপের মুহূর্তে তারা কেমন করে, সেটাই দেখার।