Image description

কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে এখনও অনড় অবস্থানে আছেন সাবিনা খাতুন, মনিকা চাকমা, মাসুরা পারভীন, ঋতুপর্ণা চাকমা-সহ ১৮ নারী ফুটবলার। তারা কেউই চান না বাটলারকে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের ডাগ আউটে দেখতে। তবে নারী ফুটবলের দলের এক সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ার পর অবস্থান না বদলালেও সুর বদলে নরম হচ্ছেন বিদ্রোহী ফুটবলাররা।

গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন সাক্ষাৎ করেছেন সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সাথে। ১৫ মিনিট পর সেখান থেকে বের হওয়ার পর সাবিনার কাছে আলোচনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্য প্রসঙ্গ সভাপতির সাথে তার কথা হয়েছে। বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, সংবাদ মাধ্যমে চলমান বিদ্রোহ নিয়ে তাদের খোলাখুলি কথা বলাটা ভালোভাবে দেখছে না বাফুফে।

সেই বিষয়ে সতর্ক করতেই সাবিনাকে ডেকেছিলেন বাফুফে সভাপতি। আরও জানা গেছে বাটলারের অধীনে অনুশীলনে ফেরার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে সাবিনার। কারণ অনুশীলন বয়কটের কারণেই কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখা হয়নি বিদ্রোহী ১৮ নারী ফুটবলারকে।

এই প্রসঙ্গে নারী ফুটবল দলের কোচিং স্টাফের এক সদস্য জানান, তারা বোঝানোর পর বিদ্রোহী ফুটবলাররা আগের চেয়ে নমনীয় হয়েছেন। ফুটবলাররা এটাও বুঝতে পারছেন, দিন শেষে ক্ষতিটা তাদেরই হচ্ছে।

সুর বদলের নেপথ্যে আর্থিক বিষইয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত, সেটা বলাই বাহুল্য। গতকাল গত সাফ জয়ীদের মধ্যে থেকে চুক্তিভূক্ত হয়েছেন ৭ জন। চুক্তিভুক্ত সকলকেই একে একে ডেকে নিয়ে চুক্তিপত্রে সই করানো হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৫৫ জন নারী ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তির সই করতে চায় বাফুফে। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পুরো তালিকা প্রকাশ করেনি বাফুফে।

 

৬ ক্যাটাগরিতে ৩৬ জন নারী ফুটবলারের সাথে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে বাফুফের। এই ৬ ক্যাটাগরিতে বেতন নির্ধারণ হয়েছে যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৩০ হাজার, ২৫ হাজার ও ১০ হাজার টাকা।

সারাবাংলা