
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আসা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ক্লাব দে মাদ্রিদের সভাপতি এবং স্লোভেনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দানিলো তুর্ক। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কের একটি হোটেলে তাদের মধ্যে এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূসকে তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ক্লাব দে মাদ্রিদের সদস্য হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান দানিলো তুর্ক। ক্ষুদ্রঋণে তার যুগান্তকারী কাজের বৈশ্বিক প্রভাবের প্রশংসা করে তুর্ক বলেন, ‘আমরা আপনাকে আমাদের বিভিন্ন আয়োজনে সদস্য হিসেবে পেয়ে গর্বিত হব। একইসঙ্গে, বাংলাদেশে বর্তমানে যে গণতান্ত্রিক রূপান্তর চলছে, সে বিষয়ে আপনার মতামত আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে দানিলো তুর্ক বলেন, এই আন্দোলন বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তাই এ ধরনের রূপান্তর সম্পর্কে বিশ্বনেতাদের আরও ভালোভাবে বোঝা উচিত। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক চর্চা উৎসাহিত করার তাদের প্রচেষ্টার প্রতিও তিনি সমর্থন জানান।
আমন্ত্রণ গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কারের অভিজ্ঞতা তিনি ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো জঙ্গলের মধ্য দিয়ে হাঁটছি এবং দেশকে একটি গণতান্ত্রিক রূপান্তরের দিকে কীভাবে নিয়ে যাওয়া যায়, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আমাদের মনোযোগ দৃঢ়ভাবে এই পথেই রয়েছে।’
উল্লেখ্য, ক্লাব দে মাদ্রিদ হলো বিশ্বের সাবেক গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত একটি বৃহত্তম ফোরাম। এই ফোরাম বিশ্বব্যাপী অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক অনুশীলনকে শক্তিশালী করতে এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে তাদের ব্যক্তিগত ও সম্মিলিত অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে।
বৈঠকে এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।