Image description

ডা. জাহেদ উর রহমান 

 

সম্প্রতি নিষিদ্ধ হয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দল আওয়ামী লীগ। ২৪ এর গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত দলটির কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই চারিদেিক একটাই আলোচনা দলটি নিষিদ্ধ হওয়ায় মূলত কাদের লাভ হলো আর ক্ষতিই বা কার হলো? এবার এই বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের লাইভ টকশোতে কথা বলেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় কারা লভবান হলেন আর কাদের ক্ষতি হলো? উপাস্থাপিকার এমন প্রশ্নের জবাবে, ডা. জাহেদ উর রহমান মন্তব্য করেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় সবচেয়ে বেশি লাভ হয়েছে দেশে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে স্বয়ং ফ্যাসিস্ট হাসিনার। এর পিছনে বেশ কিছু শক্ত যুক্তি উপস্থাপন করেছেন ডা. জাহেদ। তার মতে, হাসিনা চেয়েছিলো দেশে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে নির্বাচনে অংশ নিবেন। আর যখন এসব নেতা-কর্মীরা নির্বাচনে অংশ নিতে মাঠে নামবেন, তখন আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষোভ থেকে হামলা চালাবে অন্য দলগুলো। আর হাসিনা বিদেশি গণমাধ্যমে সেটিই তুলে ধরবেন। এখন আওয়মী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় হাসিনার এই প্ল্যান বানচাল হয়েছে বলেই মন্তব্য এই বিশ্লেষকের।

বিদেশী মিডিয়ায় হাসিনার প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর উদাহরণ টেনে তিনি তার একটি কলরেকর্ডের কথা সামনে আনেন। যেখানে হাসিনাকে বলতে শোনা গিয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি সামনে নিয়ে নেতাকর্মীদের আন্দোলন করতে, এবং পাশে দাঁড়িয়ে একজনকে ছবি তুলতে।

এর পাশাপাশি ডা. জাহেদ আওয়ামী নেতা-কর্মীরা কিভাবে লাভবান হলেন দলটি নিষিদ্ধ হওয়ায় তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তার মতে, যদি আওয়মী লীগ নির্বাচনে আসতে পারতো তাহলে মার খেতো দেশে অবস্থানরত দলীয় নেতা-কর্মীরা। আর দেশে কে মার খেয়ে মরে গেলো তাতে হাসিনার কিছুই যায় আসেনা বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আর এজন্যই নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন বলেই মন্তব্য তার, অন্তত সেই পরিস্থিতির হাত থেকে বেঁচে গেছেন তারা।