Image description

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরে ঢাকা ক্যাপিটালসের স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন নিয়াজ খান। তবে এবার রাজধানীর দলটির সঙ্গে আর নেই তিনি। ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টের চলতি আসরে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের সহকারী কোচের দায়িত্বে আছেন। তবে টুর্নামেন্ট চলাকালেই তাকে অ্যালেক্স মার্শালের নেতৃত্বাধীন ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু।

মূলত বড় পর্যায়ে কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলেও টানা দুই মৌসুম ধরেই বিপিএলে কাজ করছেন নিয়াজ। যদিও আফগানিস্তানের ক্রিকেটে নিজের অবদান আর অভিজ্ঞতার একরাশ বুলি সবার কাছেই বলে বেড়ান নিয়াজ। এমনকি এশিয়া কাপে কাজ করার দাবিও করেন সময়ে-অসময়েই। তবে এসব তথ্যই অস্বীকার করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। 

জানা গেছে, কেবল শাপাগিজা টুর্নামেন্টে একবার সহকারী কোচ ছিলেন এবং বর্তমানে শারজাহতে একটি প্রাইভেট একাডেমি পরিচালনা করছেন নিয়াজ। কিন্তু ঠিক কোন যোগ্যতায় বিপিএলে কাজ করছেন তিনি, তা নিয়ে একগাদা প্রশ্ন ওঠায় তাকে নজরদারিতে রেখেছে বিসিবি।

এ নিয়ে মিঠু বলেন, ‘আপনি জানেন আমাদের একটা স্বতন্ত্র কমিটি আছে। অ্যালেক্স মার্শাল প্রধানের দায়িত্বে এবং আমাদের এখানে যোগ দিয়েছেন। আপনাদের সামনে হয়তো আসেনি কিন্তু এরকম হয়েছে অনেক দলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, 'তাদের কেউ দলের সঙ্গে থাকতে পারবে না।’’ আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।’

তিনি যোগ করেন, ‘এটা (নিয়াজ খানের ইস্যু) সিরিয়াসলি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই অ্যালেক্স মার্শালের ইন্টিগ্রিটি দলের কাছে গেছে। আপনি যে কথাটা বলেছেন, আমরা কিন্তু যেকোনো ইস্যু সিরিয়াসলি নিচ্ছি।’

এদিকে এবারের বিপিএল শুরুর আগেই দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নীতির কথা জানিয়েছিল গভর্নিং কাউন্সিল, যা এখন পর্যন্ত কার্যকরভাবেই বাস্তবায়ন করছে বলে দাবি তাদের। যে কারণে এনামুল হক বিজয়, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের মতো ক্রিকেটারদের নিলামে রাখা হয়নি। পাশাপাশি কয়েকজন কর্মকর্তাকেও বিপিএলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে দেওয়া হয়নি।

এ প্রসঙ্গে মিঠু বলেন, ‘অন্তত গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব হিসেবে আমি বলতে পারি এখানে জিরো টলারেন্স। সেই জিরো টলারেন্সের জন্যই কিন্তু আপনারা হঠাৎ হঠাৎ করে দেখছেন... আপনারা চিন্তা করেন একটা দলে নিয়েছে, খেলোয়াড়দের টাকা দিয়েছে, আমাদের টাকা দিয়েছে তারপরও কেন হঠাৎ সরিয়ে নিলো। আমাদের জন্য কষ্ট হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাকশনে যেতে হয়েছে।’