বিপিএল শুরু হতে আর এক দিনেরও কম সময় বাকি। ঠিক এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তেই একের পর এক নাটকীয় ঘটনায় সরগরম হয়ে উঠেছে টুর্নামেন্টের পরিবেশ। বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিকানা পরিবর্তনের খবরের পরই দুপুরের দিকে আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে নোয়াখালী এক্সপ্রেস।
দলের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে অনুশীলন সেশন মাঝপথে ছেড়ে চলে যান নোয়াখালীর কোচিং স্টাফের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য—খালেদ মাহমুদ সুজন ও তালহা জুবায়ের। সেই ঘটনায় দলকে ঘিরে তৈরি হয় অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ।
তবে নাটকের এখানেই শেষ নয়। ঘটনার প্রায় তিন ঘণ্টা পরই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে। বিকেলে নোয়াখালীর মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর ফের অনুশীলনে যোগ দেন সুজন ও তালহা। পরে গণমাধ্যমের সামনে এসে খালেদ মাহমুদ জানান, মুহূর্তের আবেগ থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
এর মধ্যেই আসর শুরুর আগের দিন নোয়াখালী এক্সপ্রেস তাদের অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেছে। দলটির নেতৃত্বে থাকছেন সৈকত আলী। এটি নোয়াখালীর বিপিএল ইতিহাসে প্রথম অংশগ্রহণ, আর সেই সঙ্গে সৈকতের জন্যও প্রথমবারের মতো বিপিএলে অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা।
মিডল অর্ডারে নির্ভরযোগ্য ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি কার্যকর মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন সৈকত। এর আগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, রংপুর রাইডার্স, ফরচুন বরিশাল ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে বিপিএল খেললেও কখনো নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পাননি তিনি।
নাটকীয় এই দিন শেষে নোয়াখালী এক্সপ্রেস শিবিরে আপাতত স্বস্তি ফিরেছে, এখন নজর মাঠের পারফরম্যান্সে।