নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল কাগজে-কলমে সহজ, কিন্তু যুব এশিয়া কাপে এমন ম্যাচই অনেক সময় ফাঁদ হয়ে দাঁড়ায়। সেই ফাঁদে পা না দিয়ে দায়িত্বশীল ক্রিকেট খেলেই টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল। ব্যাটে-বলে নিয়ন্ত্রিত পারফরম্যান্সে ৭ উইকেটের জয় এনে দিলেন ওপেনার জাওয়াদ আবরার, যাঁর ব্যাট থেকেই এসেছে ম্যাচের সবচেয়ে বড় গল্প।
দুবাইয়ের সেভেনস স্টেডিয়ামে টসে জিতে বাংলাদেশ আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। শুরু থেকেই নেপালের ব্যাটিংয়ে চেপে ধরে যুব টাইগারদের বোলাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে হারাতে ৩১.১ ওভারে মাত্র ১৩০ রানে অলআউট হয়ে যায় নেপাল অনূর্ধ্ব–১৯ দল। অভিষেক তিওয়ারির ৩০ রানই ছিল তাদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন মোহাম্মদ সবুজ। ৩ উইকেট নিয়ে নেপালের ইনিংসে বড় ধাক্কা দেন তিনি। সাদ ইসলাম, শাহরিয়ার আহমেদ ও আজিজুল হাকিম তামিম নেন ২টি করে উইকেট, আর একটি শিকার করেন শাহরিয়া আল–আমিন। সম্মিলিত বোলিং প্রচেষ্টায় নেপালকে চাপে রেখে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আগেই নিজেদের হাতে নেয় বাংলাদেশ।
লক্ষ্য তাড়ায় নামার পর শুরুটা অবশ্য একেবারে মসৃণ ছিল না। চতুর্থ ওভারের মধ্যেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। রিফাত বেগ ৫ রান করে এবং আজিজুল হাকিম তামিম ১ রান করে ফিরে যান। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ইনিংস গুছিয়ে নেন জাওয়াদ আবরার।
জাওয়াদের সঙ্গে ধীরে কিন্তু নিশ্চিতভাবে ইনিংস এগিয়ে নেন কালাম সিদ্দিকী অলিন। ঝুঁকি না নিয়ে পরিস্থিতি বুঝে খেলার ফলেই বড় জুটির ভিত গড়ে ওঠে। আগের ম্যাচের মতো এবারও ফিফটির দেখা পান জাওয়াদ। ৬৮ বলে ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংসে ছিল পরিপক্বতার ছাপ। কালাম ৬৬ বলে ৩৪ রান করে আউট হলেও ততক্ষণে জয় অনেকটাই নিশ্চিত।
শেষ দিকে রিজান হোসেন ৮ বলে ১২ রান করে দ্রুত কাজ সেরে দেন। ২৪.৫ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ, হাতে থাকে ৭ উইকেট ও ১৫১ বল। এই জয়ে গ্রুপ পর্বে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল যুব টাইগাররা।