মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে সাক্ষাতের পর কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই তার সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। এমতাবস্থায় মুখ খুলতে বাধ্য হলেন রোনালদোর বড় বোন কাটিয়া আভেইরো। সমালোচকদের একহাত নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, তার ভাই কোনো রাজনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করেন না। নিজের যোগ্যতায় এতদূর এসেছেন।
গত সপ্তাহে রোনালদো তার বাগদত্তা জর্জিনা রদ্রিগেজকে সঙ্গে নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি জাঁকজমকপূর্ণ নৈশভোজে অংশ নেন। সেখানে ট্রাম্পের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ ও রাষ্ট্রনায়কেরা। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ট্রাম্পের সঙ্গে রোনালদো ও জর্জিনাকে একসঙ্গে হাঁটতে দেখা যায়। তারা বেশ কিছু কথাও বলেন। পরবর্তীতে রোনালদোকে ওভাল অফিসে আমন্ত্রণ জানান ট্রাম্প।
এই সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক সমর্থক ও সমালোচক তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। এসব সমালোচনার জবাবে ইনস্টাগ্রামে এক আবেগঘন ভিডিও বার্তায় কাটিয়া আভেইরো বলেন, ‘আমার ভাই কখনও কারও পক্ষপাত, দলাদলি বা রাজনৈতিক সুবিধার ওপর নির্ভর করে এগোয়নি। সে কেবল কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে—যা তার সমালোচকেরা কেবল গল্প শুনেই জানে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সে হোয়াইট হাউসে গেল, আর সঙ্গে সঙ্গে যেন পারমাণবিক বিস্ফোরণের মতো আবেগের বিস্ফোরণ ঘটে গেল! সব ভণ্ড। ২০ বছর ধরে সে পর্তুগালকে কাঁধে তুলে বিশ্বমঞ্চে এগিয়ে নিয়ে গেছে। চরম দারিদ্র্য থেকে উঠে এসে কোনো শর্টকাট ছাড়াই সে কঠোর পরিশ্রম করে নিজের সাম্রাজ্য গড়েছে। ক্রিশ্চিয়ানো আমাদের দেশের জন্য যতটা করেছে, কোনো গোলটেবিল বৈঠক তা করতে পারেনি। সে পর্তুগালকে বিশ্বের সেরা দেশগুলোর কাতারে নিয়ে গেছে।’
নৈশভোজের সময় ট্রাম্প প্রকাশ্যে জানান, রোনালদোর কারণে তার ছেলে ব্যারনের চোখে তিনি আরও সম্মানিত হয়েছেন। এরপর রোনালদো নিজেও ইনস্টাগ্রামে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন, ‘মি. প্রেসিডেন্ট, আপনার আমন্ত্রণ ও উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য কৃতজ্ঞ। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের প্রত্যেকেরই অর্থবহ কিছু দেওয়ার আছে, যা নতুন প্রজন্মকে সাহস, দায়িত্ববোধ ও স্থায়ী শান্তির পথে অনুপ্রাণিত করবে।’