Image description

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শততম টেস্ট ম্যাচ খেলার রেকর্ড তো তো তিনি গতকালই করে ফেলেছেন, শততম টেস্ট ম্যাচে সেঞ্চুরি করা প্রথম বাংলাদেশিও তিনি।

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে মাত্র দশজন ব্যাটার নিজের শততম টেস্টে শতক করার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। তারা কেবল ব্যাটিং দক্ষতাই নয়, মানসিক দৃঢ়তা এবং ধারাবাহিক পারফরম্যান্সেরও নজির গড়েছেন। আজ মুশফিক শতক হাঁকিয়ে নিজেকে নিয়ে গেলেন সেই কিংবদন্তিদের তালিকায়।

শততম টেস্টে যাদের রয়েছে সেঞ্চুরি

প্রথম ব্যাটার হিসেবে এই নজির গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের কলিন কাউড্রে। ১৯৬৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শততম টেস্ট খেলতে নেমে এই ব্যাটার করেছিলেন ১০৪ রান। এর দুই দশক পর এই কীর্তি গড়েন পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে তার শততম টেস্ট খেলতে নেমে ১৪৫ রান করেন তিনি।

এরপর এই ক্লাবে একে একে প্রবেশ করেন গর্ডন গ্রিনিজ ও অ্যালেক স্টুয়ার্ট। ১৯৯০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গর্ডন গ্রিনিজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেন ১৪৯ রান। তার এক দশক পর ২০০০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের অ্যালেক স্টুয়ার্ট করেন ১০৫ রান।

এরপর ২০০৫ সালে শততম টেস্ট খেলতে নামে পাকিস্তানের ইনজামাম-উল-হক। জাভেদ মিয়াঁদাদের মতো তারও প্রতিপক্ষ ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত। সেদিন এই পাকিস্তানি ব্যাটার ১৮৪ রানে থামেন।

আগের পাঁচজন এক ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেও নতুন ইতিহাস গড়েন অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং। তিনি ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শততম টেস্টে দুই ইনিংসে শতক হাঁকিয়ে অনন্য রেকর্ড স্থাপন করেন। দুই ইসিংসে তার স্কোর ছিল ১২০ ও ১৪৩।

গ্রায়েম স্মিথ ও হাশিম আমলা দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১০০তম ম্যাচে ধৈর্য ও দৃঢ়তার নজির স্থাপন করেন। স্মিথ ২০১২ সালে শততম টেস্টে ১৩১ রান করেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, আর হাশিম আমলা ২০১৭ সালে ১৩৪ রান করেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

ইংল্যান্ডের জো রুট ও অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার শততম ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ করেন। জো রুট ২০২১ সালে ২১৮ রান করেন ভারতের বিপক্ষে, আর অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার ২০২২ সালে ২০০ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

শীর্ষনিউজ