Image description

দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তবে মোটেও বিচলিত হন। এ বহিষ্কারকে তিনি প্রত্যাশিত বলেই উল্লেখ করেছেন। নতুন পথচলায় দেশের মানুষের তথা এলাকার মানুষের দোয়া কামনা করেছেন। পাশাপাশি ভোটের মাঠে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সাবেক এ সংসদ সদস্য।

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমি সব সময় সত্য বলে গেছি। এখনো সত্য বলে যাব। সত্য যেন বলে যেতে পারি সেই দোয়া চাই।

এখন আমার নতুন পথচলা। আমি দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সেই পথ চলতে চাই।’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রুমিন ফারহানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ-বিজয়নগরের দুই ইউনিয়ন) আসন থেকে ভোটে লড়বেন।  তিনি হাঁস প্রতীক চাইবেন বলে জানা গেছে।

জানালেন, ছোটবেলা থেকেই হাঁস পছন্দ। কর্মী-সমর্থকরাও হাঁস প্রতীক চাইছেন।
তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুটি আসনের চারজনকে বহিষ্কার করে বিএনপি। এর মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার নাম রয়েছে। মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য রুমিন ফারহানাসহ চারজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
 
জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবকে জোটের মনোনয়ন দেওয়া হয়। তবে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী রুমিন ফারহানাও মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরপরই তার বিরুদ্ধে বহিষ্কারাদেশ আসে।
 
দলের নেত্রীর মৃত্যু দিনে এ বহিষ্কারাদেশ নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে রুমিন ফারহানার। বেগম খালেদা জিয়াকে আপসহীন নেত্রী উল্লেখ করে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে তার অবদানের কথা তিনি এ প্রতিবেদকের কাছে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারানোর কথা তিনি উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাশিত থাকলেও এমন দিনে সভা করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সাধারণ মানুষের মনে লেগেছে। দেশের হয়ে এত কিছু করা একটা মানুষের লাশ রেখে কিভাবে এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে এটা নিয়ে মানুষের মাঝে আলোচনা আছে। আমি বিষয়টা নিয়ে কিছু বলতে চাই না।’  

রুমিনের বাবা অলি আহাদের বাড়ি বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুরে। ওই উপজেলার ইসলামপুর ও বুধন্তী ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে রুমিন ফারাহনা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন। এ দুটি ইউনিয়নের ভোট নির্বাচনের মাঠে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। 
 
মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘এ নির্বাচন জনগণের নির্বাচন। এ নির্বাচন ব্যক্তি রুমিন ফারহানার নির্বাচন। জনগণ এবার ভোটের মাধ্যমে সব কিছুর জবাব দিবে। জনগণ আমার পাশে আছে। আমি বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষের কাছে দোয়া চাই। আমার এলাকার মানুষ আমার প্রতি যে আস্থা, বিশ্বাস রেখেছে সেটার প্রতিদান যেন দিতে পারি সেই দোয়া চাই।’

বাবার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘আল্লাহর পরিকল্পনা মানুষের বোঝার উপায় নেই। আল্লাহর এই পরিকল্পনায় ১৯৭৩ সালে আমার বাবা আওয়ামী লীগের জোয়ারের বিপক্ষে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেছিল। রাব্বুল আল-আমিনের কি অদ্ভুদ পরিকল্পনা ২০২৬ এ এসে আমাকে ধানের শীষের জোয়ারের বিপক্ষে স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে হচ্ছে।’