ময়মনসিংহের ত্রিশালে জেএসসি বৃত্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ত্রিশাল উপজেলা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাদিকুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় নজরুল একাডেমি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ইলেকট্রনিক ডিভাইস থাকায় এক শিক্ষক ও ফাঁসকৃত প্রশ্ন হাতে থাকায় এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত সিদ্দিকী। বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রলীগ নেতাকে আদালতে প্রেরণ করে ত্রিশাল থানা পুলিশ।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার ত্রিশাল উপজেলার নজরুল একাডেমি কেন্দ্রে জেএসসির বৃত্তি পরীক্ষা শুরু আগে থানা থেকে প্রশ্ন নেওয়ার কিছুক্ষণ পর একই প্রতিষ্ঠানের শরীরচর্চার খন্ডকালীন শিক্ষক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাদিকুল ইসলাম প্রশ্নপত্র ফাঁস করে বাহির থেকে উত্তর সরবরাহ করেন নিজ শিক্ষার্থীদের। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত সিদ্দিকী তাকে হাতেনাতে আটক করেন। তার কাছ থেকে গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ফটোকপি ও উত্তরপত্র জব্দ করা হয়। পরে ত্রিশাল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গতকাল রাতে কেন্দ্র সচিব ও নজরুল একাডেমির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এছাড়াও পরীক্ষার কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করার কারণে বড়মা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আসাদুজ্জামান ও নকল করার দায়ে নজরুল একাডেমির শিক্ষক আহনাফ আবিদ রাফিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ত্রিশাল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ খান বলেন, বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা নিয়ে আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, জেএসসি বৃত্তি পরীক্ষা পরিদর্শনকালে একজন শিক্ষক নকল সরবরাহ করা ও অসৎ উপায় অবলম্বন করার সময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়।