Image description
 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সাবেক এমপি ও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য লতিফুর রহমান বলেছেন, আগামী দিনের বাংলাদেশে একটি পরিবর্তন হতে চলেছে। আমাদের দলে যারা আওয়ামী লীগ থেকে আসবেন, আপনাদের দায়-দায়িত্ব আমরা নিব। আপনারা আওয়ামী লীগ থেকে জামায়াতে যোগ দেন, বিএনপি থেকে জামায়াতে যোগ দেন, আপনাদের দায়িত্ব আমরা নিব। জামায়াতে ইসলামীকে আগের জামায়াত মনে করিয়েন না, জামায়াত এখন অনেক শক্তিশালী। 

 

তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সব সমস্যা এখন লতিফুর রহমান দেখে। যারা আওয়ামী লীগ থেকে এসেছেন, নির্দ্বিধায় থাকবেন, আপনাদের বিষয়ে আইন-আদালত, কোর্ট-থানার দায়িত্ব আমরা নিব, ইনশাআল্লাহ। মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের ফাটাপাড়া মদনমোড় এলাকায় এক উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় তিনি আরও বলেন, আল্লাহর দল ছাড়া মানুষের গড়া দল করা যাবে না, এটি আমার কথা নয়, কোরআনের কথা। আল্লাহ বলেছেন, তোমাদের সকল বিষয়ের জাররা জাররা হিসাব নিব। বিএনপির সাথে থাকবেন, বিএনপির সাথে কেয়ামত করতে হবে। আল্লাহর রাসুল বলেছেন, কাউকে ভালোবাসতে হলে আল্লাহর জন্য ভালোবাসতে হবে, কারো সাথে শত্রুতা করলে আল্লাহর জন্য করতে হবে, দান করলে আল্লাহর জন্যেই করতে হবে। 
 
লতিফুর রহমান বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লোকদের দাওয়াত দিচ্ছি। আমরা হিন্দু ভাইদের প্রতি দাওয়াত দিচ্ছি, আজকে তারা দলে দলে দাখিল হচ্ছে। দুলাল আওয়ামী লীগ থেকে জামায়াতে যোগ দিয়েছে। এতে বরং সে জাহান্নাম থেকে বেঁচে গেছে। আমি নিজেও আওয়ামী লীগ পরিবারের ছেলে। আমি ১৯৭১ সালের শহীদ পরিবারের ছেলে। আমি দেশ স্বাধীনের জন্য ৬৯ থেকে ৭৫ পর্যন্ত কাজ করেছি। আমি ১৯৭৬ সালে মুসলমান হয়েছি, আমাকে মুসলমান বানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। আমি ইসলামী ছাত্রশিবিরের কাছে ঋণী, আমাকে নামাজ, কোরআন, ইসলাম সম্পর্কে ধারনা, মুসলমানদের কায়দা-কানুন শিখিয়েছে।  

 

সাবেক এমপি আরও বলেন, যারা আগে আওয়ামী লীগ করতো এখন জামায়াতে যোগ দিয়েছে, তাদের বাড়ি পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। আমি এখান থেকেই ডিবি পুলিশকে বলে দিলাম, এভাবে ডিস্টার্ব করবেন না। ইসলাম হচ্ছে মানবতার ধর্ম। কোরআন শুধু মুসলমানদের জন্য না, কোরআন এসেছে মানবজাতির জন্য। আমরা হিন্দুদের প্রার্থী দিয়েছি, তারা দলে দলে জামায়াতে যোগ দিচ্ছে। সব দল দেখা শেষ, শুধু একটি দল বাকি, এবার মানুষ জামায়াতে ইসলামীকে দেখতে চাই। আপনারা (বিএনপি) ঘাবড়াবেন না। আপনারা এত বেহুশ হয়ে কথা বলছেন কেন? আমাদেরকে রগ কাটা পার্টি বলছেন কেন? মানুষের যখন কিছু বলার থাকে না, তখন আবোলতাবোল কথা বলে। এগুলো জনগণ আর খাচ্ছে না। নতুন কথা নিয়ে আসেন। কী করেছেন, আর ভবিষ্যতে কী করতে চান, এই বক্তব্য নিয়ে আসেন।