Image description

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন্ন ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সহনশীল ও ভায়োলেন্সহীন ছাত্র রাজনীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব।

রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, গত জুলাইয়ের পরে আমি দুইবার বাংলাদেশে গেছি, একবার ডিসেম্বরে, আরেকবার জুনে। দুইবারেই আমার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যাওয়া হইছে। একবার একটা একাডেমিক সেমিনারে, আরেকবার ছাত্র শিবিরের নবীন বরন অনুষ্ঠানে। জগন্নাথে আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বন্ধু-বান্ধব এখন শিক্ষকতা করে।এদের সূত্রেই মূলত যাওয়া। ক্যাম্পাস ঢাকায় হবার কারনে এবং একঝাক খুবই যোগ্যতা সম্পন্ন তরুণ শিক্ষক থাকার কারনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অল্প সময়েই ভাল একাডেমিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠবে বলে মনে হয় আমার।

তিনি আরও লেখেন, আর একদিন পরেই  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচন। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের ক্যাম্পেইন খুবই ভাল ভাবে চলেছে। কোন ভায়োলেন্স ছাড়া। শিবির এবং ছাত্রদল দুই সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারাই ক্যাম্পাসে গেছেন, প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। শিবিরের সদ্য বিদায়ী সভাপতি জগন্নাথের ছাত্র ছিলেন। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতিও ক্যাম্পাসে গেছেন। ছাত্র রাজনীতিতে এই সৌহার্দ্যের সম্পর্ক, ভায়োলেন্সহীন নিরাপদ পরিবেশ থাকুক - এইটাই আমাদের সবার চাওয়া। জুলাইয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের নবীন বরন অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম। খুবই সুন্দর আয়োজন ছিল।

ড. মির্জা গালিব জানান, শিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম অসাধারণ লিডার, তার খুব ভাল ম্যানেজমেন্ট ছিল নবীন বরন প্রোগ্রামে। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরাও স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। একজন শিক্ষার্থীর বক্তব্য আমার মনে আছে, বলতেছিল শিক্ষার্থী হিসেবে সে রাজনীতি সচেতন, কিন্তু সরাসরি দলীয় রাজনীতি করতে চায় না; আল মাহমুদের কবিতা তার ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রামের অনুপ্রেরণা। এইটাই আমার কাছে মনে হয় আমাদের তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের মানস।

তিনি আরও বলেন, এইটাই ছিল শরীফ ওসমান হাদীর রাজনীতি। ফ্যাসিবাদ আর আধিপত্যবাদের বিপক্ষে দলীয় রাজনীতি না করা তরুণদের জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম। এই বিপ্লবী ছাত্র-ছাত্রীরা যদি ছাত্র সংসদের নির্বাচনে তুলনামূলক ভাল ও যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীদের ভোট দেয়, আধিপত্য আর ফ্যাসিবাদ বিরোধী তরুণ-তরুণীদের ভোট দেয়, ছাত্রদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যদি স্বাধীনভাবে ক্যাম্পাসে কাজ করতে পারে, তাহলে ছাত্র রাজনীতির চরিত্র বদলে যাবে ইনশাআল্লাহ।

এছাড়া তিনি উল্লেখ করেন, ছাত্রশিবির বিভিন্ন ক্যাম্পাসের নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ভাল করেছে। ইনকিলাব মঞ্চের কয়েকজনও এই নির্বাচনে আছেন। আশাকরি তারা নির্বাচনে ভাল করবেন। আওয়ামীলীগের সময় নির্যাতনের শিকার খাদিজাতুল কুবরাও নির্বাচন করতেছেন। আশাকরি শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দসই প্রার্থী বেছে নিবেন। যারাই জিতে আসুক, সবাই মিলে ক্যাম্পাসে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এক সাথে কাজ করবে - এই আশা করি।