বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর পর প্রিয় মাতৃভূমির মাটি ছুঁয়ে দেশের মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৩৬ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট। সেখান থেকে যোগ দেন রাজধানীর পূর্বাচলের ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফিট) সংলগ্ন বিশাল গণসংবর্ধনা সমাবেশে। দেন ঐতিহাসিক ভাষণ। দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদবিরোধী অবিসংবাদী নেতা মার্টিন লুথার কিং বলেছিলেন- ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’। তেমনি আমিও আজ বলছি- আই হ্যাভ এ প্ল্যান।আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আপনাদের প্রত্যেকের সহযোগিতা লাগবে।
তারেক রহমান বলেন, আজকে এই মঞ্চে আমাদের সমমনা দলগুলোর শীর্ষ নেতারাও আছেন। আমি আমার দলের নেতৃবৃন্দ, দেশবাসী ও সমমনা নেতাদের নিয়ে সুন্দর শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ব।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিবের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া নেয় বিবিসি বাংলা।
আখতার হোসেন বলেন, ‘দেশে যখন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও নির্বাচন হবে কিনা, এ নিয়ে মানুষের মধ্যে শঙ্কা ছিল- এমন প্রেক্ষাপটে তারেক রহমান দেশে ফেরায় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দূর হলো।’
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব মনে করেন, তারেক রহমান দলীয় রাজনীতির বাইরে জাতীয় রাজনীতিতে কী ভূমিকা রাখেন, সেদিকে সবার নজর থাকবে।
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান নির্বাসনে থেকে তার দল বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে তিনি কিভাবে ভূমিকা রাখেন, সেটি একটি বড় বিষয়।’