ভোলার দৌলতখানে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপির হামলায় জামায়াতের ২০ নেতাকর্মী আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ ১৬ ডিসেম্বর বুধবার উপজেলার আমিরজাং গজনবী স্টেডিয়ামে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ৪জনের অবস্থা গুরুতর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জামায়াতের আমির, সেক্রেটারির জন্য নির্ধারিত আসন বরাদ্দ দেয়া হয়। সকালে তারা এসে সেই আসনে বসেন। এ সময় পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বাবুল, ভবানীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি স্বপন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা ‘রাজাকারেরা বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আসবে কেন’—এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে হামলা শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং অনেক জামায়াত কর্মী আহত হন।
জামায়াতের উপজেলা আমির হাসান তারেক হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত হয়ে মাঠে গিয়েছিলাম। মাঠে আমাদের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলো। উপজেলা আমির ও সেক্রেটারির বরাদ্দকৃত আসনের নামফলক ছিঁড়ে ফেলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি অশোভন স্লোগান দিয়ে অতর্কিত হামলা করেন। আহতদের মধ্যে সৈয়দপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা শহিদুল ইসলাম, আবু তালহা, মো. হাসনাইন, মো. শাহরুপ হোসেন, মো. সরোয়ার আলম, মো. আমজাদ হোসেন, মো. তানভী উল্লেখযোগ্য।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সাজু জানান, অনুষ্ঠানের চেয়ার নিয়ে আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল এখন সেটা সমাধা হয়ে গেছে। উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা কাউকে মারি নাই। আপনি কখন শুনেছেন? এখন উপজেলা জামায়াতের আমিরকে জিজ্ঞেস করেন। ফয়সালা হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সিকদার জানান, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় দলেরই আহত হয়েছে। তবে কেউই এখনো অভিযোগ করে নাই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্লাহ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। আমি উভয় দলকেই দায়ী করতে চাই। কেন কী কারণে সে বিষয়ে বলতে চাই না।