ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এনসিপির এক নারী সদস্যকে মারধরের অভিযোগে দলটির কয়েকজন দায়িত্বশীল নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা, সাজানো ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করা হয়েছে।
দলটি বলেছে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নিকট আমরা একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত প্রত্যাশা করি। একই সঙ্গে মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে আমাদের নেতাদের হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
সোমবার এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব ও মিডিয়া সেল সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি জেলা কার্যালয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়েছে, সেটিকে পরিকল্পিতভাবে দলীয় নেতাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে - যা অত্যন্ত দুঃখজনক, নিন্দনীয় ও সুস্পষ্টভাবে ষড়যন্ত্রমূলক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলের দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ও কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আতাউল্লাহসহ কয়েকজন নেতার নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলার বর্ণনায় যেসব ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মনগড়া ও বাস্তবতাবিবর্জিত। যে দিন কার্যালয়ে হামলার কথা বলা হয়েছে, সেদিন সংশ্লিষ্ট নেতা মোহাম্মদ আতাউল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না; তিনি ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।
তা সত্ত্বেও তাকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ২ নম্বর আসামির কাছে অভিযোগ জমা দেওয়ার যে দাবি করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা; কারণ তিনি একজন সাধারণ সদস্য মাত্র এবং এ ধরনের দায়িত্ব তাঁর আওতার মধ্যে পড়ে না।
এতে বলা হয়, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নিকট আমরা একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত প্রত্যাশা করি। একই সঙ্গে মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে আমাদের নেতাদের হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
যারা প্রকৃত ঘটনা বিকৃত করে দলকে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটি যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এনসিপি জনগণের কল্যাণ ও গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে অবিচলভাবে বিশ্বাসী উল্লেখ করে দলটি বলেছে, মিথ্যা মামলা, ষড়যন্ত্র বা অপপ্রচার - কোনোটিই আমাদের দল কিংবা নেতাদের জনগণের সেবা ও সুষ্ঠু রাজনীতির পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না।