Image description
 

যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন বলেছেন, এ সরকারের আমলে সবচেয়ে আলোচিত দুর্নীতি, তদবির ও ঘুষের অভিযোগ যাঁর নামে উঠেছে, তিনি হলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, সচিবালয়ে সজীব ভূঁইয়া সম্পর্কে ‘মিস্টার টেন পার্সেন্ট’ নামে একটি প্রচলিত অভিযোগ রয়েছে। তাঁর দাবি, টেন পার্সেন্ট কমিশন ছাড়া কোনো কাজ হয় না এমন ধারণা সচিবালয়ের বিভিন্ন মহলে ছড়িয়ে আছে।

রাজধানীর পল্টনে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকার থেকে সদ্য পদত্যাগ করা উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তিনি।

যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি অভিযোগ করেন, সজীব ভূঁইয়ার ঘোষিত ব্যাংক হিসাবের সঙ্গে তাঁর জীবনযাত্রার ব্যয়-ব্যবহার সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তিনি বলেন, পদত্যাগের সময় তাঁর ব্যাংক হিসাবে ১০ হাজার টাকা ছিল, এখনও সেই হিসাব অপরিবর্তিত। অবৈধ অর্থ ব্যাংকে না রেখে বিটকয়েন, সুইস ব্যাংক কিংবা নিকটজনের কাছে রাখা হতে পারে। তিনি সরকারের কাছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিটকয়েন অ্যাকাউন্ট তদন্তের আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও সজীব ভূঁইয়ার নিকট সবুজ পাসপোর্ট এখনো রয়েছে। তিনি দাবি করেন, লাল পাসপোর্ট জমা দিলেও ব্যক্তিগত পাসপোর্ট নিজের কাছেই রাখা হয়, এটিকে তিনি অস্বাভাবিক কিছু নয় বলে উল্লেখ করেন।

মনজুর মোর্শেদ মামুন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, অভিযোগের মুখে থাকা উপদেষ্টারা নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচন কলুষিত হতে পারে। তাঁর দাবি, বিপুল পরিমাণ টাকা-পয়সা ও ক্ষমতার প্রভাব নির্বাচনকে অসম করে দিতে পারে। এ কারণে তিনি সরকারকে আগামী নির্বাচনে তাঁদের অংশগ্রহণ সীমিত রাখার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, যুব অধিকার পরিষদ দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থানে রয়েছে এবং সংগঠনে দুর্নীতিবাজ বা অনৈতিক ব্যক্তির স্থান নেই। তিনি দাবি করেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাগুলোতে তাঁদের সংগঠনের নেতাকর্মীরা বারবার ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাই দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য থেকে তাঁরা সরে দাঁড়াবেন না।

মামুন জানান, সরকার বা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত না করলে প্রেস ক্লাবের সামনে ‘জনতার আদালত’ গঠন করে তাঁদের কাছে থাকা তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হবে।

বিডি প্রতিদি