শর্মিলা রহমান সিঁথি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ। ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী। সুসময়–দুঃসময় আছেন শাশুড়ির পাশে। কারাগার থেকে হাসপাতালে খালেদা জিয়ার খুব কাছেই ছিলেন। এখনো রয়েছেন। এবার তার সাথে যুক্ত হয়েছেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। এখন দুই পুত্রবধূই সংকটাপন্ন খালেদা জিয়ার পাশে রয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় সঙ্গী হতে শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টায় জুবাইদাকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন। তিনি বলেন, “ভাবি সকাল ১০টা ৪৩ মিনিটে পৌঁছেছেন। এখান থেকে উনি সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন।”
বিমানবন্দরে ডা. জুবাইদা রহমানকে অভ্যর্থনা জানান যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক রিচার্ড বেলি, জুবাইদা রহমানের বড় বোন শাহিনা খান জামান ও তার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর সৈয়দ শফিউজ্জামান এবং মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামসুল ইসলাম শামস, শারমীন আখতার, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মঈনুল হোসেন।
এদিকে কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না পৌঁছানোয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পিছিয়ে গেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার আসছে না। সব ঠিক থাকলে সেটা শনিবার পৌঁছাতে পারে।“ম্যাডামের শরীর যদি যাত্রার উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড যদি সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে ইনশাল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) ফ্লাই করবেন।”
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে জানান, খালেদা জিয়াকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন তিনি। চিকিৎসা শেষে চার মাস পর ৫ মে কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই দেশে ফেরেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তখন তার সঙ্গে দেশে এসেছিলেন পুত্রবধূ জুবাইদা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৮ সালে কারামুক্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জায়মা রহমানকে নিয়ে লন্ডনে যান। এর ১৭ বছর পর দেশে এসে এক মাস কাটানোর পর ৫ জুন তিনি লন্ডনে চলে যান।