Image description

পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত আট ইসলামী দলের নির্বাচনী চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা আগামী সপ্তাহেই ঘোষণা হতে পারে। বেশ কয়েকটি দল ইতোমধ্যে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও নেতারা বলছেন, বৃহত্তর স্বার্থে দেয়া হবে সর্বোচ্চ ছাড়।

জাতীয় নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র সংস্কারে গণভোট, সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলন করছে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ আটটি রাজনৈতিক দল। রাজধানীর রাজপথ ছাপিয়ে চলতি সপ্তাহে এই আন্দোলন এখন বিস্তৃত হয়েছে বিভাগীয় পর্যায়ে। সাত বিভাগে চলছে ধারাবাহিক সমাবেশ।


দীর্ঘদিন ধরে গুঞ্জন চলছিল আন্দোলনে শরিক এসব দল আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে সমন্বিতভাবে। সেই লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে শরিক দলগুলোর সমন্বিত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতে পারে, এমনই আভাস দিলেন শীর্ষ নেতারা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ইউনুস আহমদ বলেন, ডিসেম্বরের প্রথম দিকে আমরা সমঝোতার কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করবো।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দিন আহমাদ বলেন, এই আসনগুলো জোট থেকে তারা দাবি করবে। এগুলো কিন্তু আমরা মোটামুটি পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। হয়তো এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা পরস্পর বসে এই বিষয়গুলো একটা পর্যায়ে নিয়ে আসবো।
 

আসন সমঝোতার ভিত্তিতে প্রার্থী নির্ধারণে দুটি বিষয় মাথায় রাখা হয়েছে বলে জানান নেতারা।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দিন আহমাদ বলেন, দুটি বিষয়ের একটি হলো সে একজন বড় বা দ্বায়িত্বশীল নেতা। আরেকটি হলো যার বেশি জনপ্রিয়তা ওই এলাকায় আছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, কে বেশি জনপ্রিয়, কে বেশি পরিচিত, কার জিতে আসার সম্ভাবনা আছে- এমন জায়গায় দিতে বলা হয়েছে যেনো লস না হয়। আন্ডারস্ট্যান্ডিং হবে বলে নিজেদের মধ্যে মাইন্ড সেট হয়ে আছে।

সমঝোতার স্বার্থে যেকোনো আসন ছাড়তে প্রস্তুত সব দলই। পরওয়ার আরও বলেন, আমাদের আমির সাহেব বলে দিয়েছেন, ‘প্রাথমিক সব বাছাই করে দিলাম। এটা একটা প্রাথমিক বাছাই। কিন্তু কেউ মনে করবেন না এই সিটটা আপনার। এটা আপনার না এটি জামায়াতে ইসলামীর। জামায়াত যখন আপনাকে ছাড়তে বলবে তখন আপনাকে ছাড়তে হবে।’

ইউনুস আহমদ আরও বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্তের জন্য বসবো। এখানে যখন কোনো আসনের জন্য কোনো প্রার্থী নির্ধারণ হয়ে যাবে। বাকি যারা থাকবে তাদের কাজই হবে ওই প্রার্থীকে সমর্থন করা।

তফসিল ঘোষণা এবং জাতীয় রাজনীতির বাস্তবতা বিবেচনায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিনক্ষণে পরিবর্তন আসতে পারে বলেও জানান নেতারা।

গোলাম পরওয়ার বলেন, ডিক্লিয়ার অব শিডিউল তখন তড়িৎ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। সময় তো আর বেশি নাই।