ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম মহানগর আমির জান্নাতুল ইসলাম বলেন, ৮ ইসলামিক জোটই নির্বাচনে বড় চমক, বিএনপি এখন বড় দল নয়। আওয়ামী লীগের মতো ভারতের কাছে দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিতে না চাইলে এবং সেনা অফিসার হত্যার ‘কারিগরদের’ উচ্ছেদ করতে চাইলে জনগণকে ইসলামিক শক্তির পাশে দাঁড়াতে হবে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ৮ ইসলামিক দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা দাবি জানান, আসন্ন নির্বাচনে ইসলামিক শক্তিই হবে বড় চমক। তারা বলেন, আওয়ামী লীগ বা বিএনপি নয়, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইলে জনগণকে ইসলামিক জোটের পাশে দাঁড়াতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ১৫ বছরের ‘ফ্যাসিবাদী শাসনে’ মানুষ রাজনৈতিক অধিকার হারিয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রায় দুই হাজার শহীদের রক্তের বিনিময়ে বর্তমান পরিবর্তন এসেছে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, সংস্কার ও অবাধ নির্বাচনের দাবি জানান।
ইসলামিক জোটের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট, সংসদে পিআর পদ্ধতি চালু, অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, জুলাই হত্যাকাণ্ড ও দুর্নীতির বিচার এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা।
৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে বিভাগীয় সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন জামায়াতের আমির ড. শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম (শায়েখে চরমোনাই), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, নেজামে ইসলাম পার্টির আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জাগপার মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবীবল্লাহ মিয়াজী এবং ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম চান।
সংবাদ সম্মেলনে জোটের বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।