টাঙ্গাইল-৮ আসনে বিএনপি প্রার্থী ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খানের একটি অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে তার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক খালেক মন্ডলকে মারধর করার হুমকি এবং আপত্তিকর ভাষায় কথা বলার অভিযোগ উঠেছে। তবে আহমেদ আযম খান বলেছেন, ওই অডিও এডিট করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ টাঙ্গাইল জেলা শাখা কমিটির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মন্ডলকে মুঠোফোনে হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের উদ্যোগে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধনে সংহতি জানান কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। তিনি বলেন, খালেক মন্ডলকে হুমকি দেয়া মানে আমাকে এবং দেশের সব মুক্তিযোদ্ধাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা খালেক মণ্ডলের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। বর্তমানে তিনি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জানান, গত বুধবার বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে আহমেদ আযম খান তাকে ফোন করেন। তাদের কথোপকথন হয় ৩ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড। সেই কথোপকথনের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
খালেক মন্ডল বলেন, আহমেদ আযম খান আমাকে ফোন করে গালাগাল করেছেন। হুমকি দিয়েছেন। তিনি আমার সঙ্গে যেভাবে কথা বলেছেন, তার হুবহু অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান বলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক খালেক মন্ডল সাহেব বিএনপির প্রতিপক্ষ কাদের সিদ্দিকীর অনুগতদের নিয়ে বাসাইল-সখীপুরে ১৬টি কমিটি দিয়েছেন; যা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির বিরুদ্ধে কাজ করবে। খালেক সাহেব প্রতিনিয়ত বিএনপির প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। এ বিষয়টি আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছি। আমি তাকে কোনো হুমকি দিইনি। তিনি এআই দিয়ে ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। আমি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদও জানাচ্ছি।
আজকের কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য সচিব আব্দুল হামিদ্, সাবেক সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হাবিব, সদরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক মো. নুরুজ্জামান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মিয়া, জেলা বার সমিতির সাবেক সভাপতি আবু তালেব মিয়া প্রমুখ।