বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের মেয়ে ও চিকিৎসক শামারুহ মির্জা বলেছেন, আমাকে শুনতে হয়েছে ‘রাজাকারের নাতনী’। এদের প্রোফাইলে গিয়ে দেখি এদের কারও কভারে দাঁড়িপাল্লা, ইসলামের বাণী কিংবা মুজিবের ছবি। আসলেই ইসলামটাকে এরা কোথায় নিল।
শনিবার (২২ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
পোস্টে শামারুহ লেখেন, ৫ই আগস্ট ২০২৪-এর পরে বাংলাদেশে একের পর এক মিথ্যাচার, চরিত্রহনন এবং মানসিক অত্যাচার। কী কারণ? তিনি কি অসৎ? না। তিনি কি ঘুষখোর, না । তিনি কি ছোটলোক, না। তিনি কি জনবিরোধী? না । তিনি জুলাই বিরোধী? না। তিনি ১৯৭১ কে ভালোবাসেন। তিনি একটি সুস্থ ও সুন্দর জাতি গড়তে চান। তিনি ১৫ বছর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন ও কাজ করেছেন। জেলে গেছেন, আওয়ামী ক্যাডাররা তার ওপর আক্রমণ করেছে, তার বাসায় বোমা হামলা হয়েছে, অপমানের চূড়ান্ত করা হয়েছে। ২০১৮তে এমপি হয়েও সংসদে যাননি দলের জন্য।
তিনি লেখেন, বিএনপি আমলে ঠাকুরগাঁও-এর ভালোর জন্য এমন কিছু নেই তিনি করেননি। কৃষি প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বরেন্দ্র প্রকল্প করেছেন। বিমানে যখন ছিলেন, বিমান ফিক্স করেছেন ২০০৭ এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার তন্নতন্ন করেও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির ‘দু’ খুঁজে পায়নি। উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সব জমি দান করেছেন। লিটারেলি তার কিছু নাই। আমাকে শুনতে হয়েছে ‘রাজাকারের নাতনী’। এদের প্রোফাইলে গিয়ে দেখি এদের কারও কভারে দাঁড়িপাল্লা, ইসলামের বাণী কিংবা মুজিবের ছবি। আসলেই ইসলামটাকে এরা কোথায় নিল; হাসিও পায়। ৫৫ বছর পরে আব্বুকে বলতে হয় আমার দাদা কোথায় ছিলেন, ইসলামপুরের রিফিউজি ক্যাম্পে।
তিনি আরও লেখেন, প্রবল আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন আমার বাবার কেমন লাগে আমি বুঝি। এই নোংরামিতে আমাদের কিছুই যায় আসে না। আমাদের শরীরে কিংবা মনে এক ইঞ্চি নোংরা লাগে না। দুঃখ লাগে এই জাতির জন্য। এই নতুন বাংলাদেশে এই তরুণ সমাজকে যারা এই নোংরা কাদায় ডুবিয়ে মারলো, তাদের তো কিছুই হলো না। মাঝখান থেকে আমাদের যত সুন্দর যত স্বপ্ন যত আশা, যত বড় হয়ে ওঠা, এরা নোংরা করলো। এ লেখার পরে আরও নোংরামি হবে, এর জবাব আল্লাহ জানে, আল্লাহ নওজ দ্য বেস্ট। যে জাতি যেমন, আল্লাহ তার শাসক দেয় তেমন। দেখা যাক।