Image description
 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘দলের নেতাকর্মী ও অনুসারীরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তাই হবে আমার সিদ্ধান্ত।’ 

শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বেড়তলা মাঠে জনসভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন আছে জানিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই একটি ভয়ভীতির জায়গা আছে। কারণ বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের নানা দাবি-দাওয়া সামনে নিয়ে আসছে। তারা কখনও বলছে, নিম্নকক্ষে পিআর না হলে নির্বাচন করবে না। কখনও বলছে, আগে গণভোট না হলে নির্বাচন করবে না। আবার কখনও বলছে, জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ না করলে নির্বাচন করবে না। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন ঘিরে একটি অনিশ্চয়তা আছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর সরকারে না থেকেও যারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে, তাদের অনেকেই তা ছাড়তে রাজি নয়। তাই নির্বাচন নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’

আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে বহুল আলোচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ-বিজয়নগর একাংশ) আসনে কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। এতে হতাশ হয়েছেন এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী রুমিন ফারহানার অনুসারীরা।

শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন না পেলে এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন, ‌‘বিগত ১৭ বছর নির্যাতিত মানুষের পাশে থেকে কাজ করে গেছি। সব সময় দল ও নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম। তাই তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। নেতাকর্মীদের সিদ্ধান্তই হবে আমার সিদ্ধান্ত। তাদের সিদ্ধান্তে নির্ভর করবে আমার রাজনীতি কোন পথে যাবে।’

রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা নিয়ে পানিশ্বর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন এ জনসভার আয়োজন করে। এতে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. সামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুস্তাফা, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির মুন্সি।

জনসভায় রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমার নির্বাচনি এলাকায় এখনও কাউকে ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। কেউ বলে জোটে কেউ বলে ধানের শীষে। দলের জন্য যেটা সুবিধাজনক হবে নিশ্চয়ই দল তার সিদ্ধান্ত নেবে। গত ১৭ বছর কীভাবে রাজপথে ছিলাম। যখন মিডিয়াতে একটা শব্দ বলার কেউ ছিল না তখন কীভাবে দলের কথা আমি মিডিয়াতে বলেছি। সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছি, এই সংসদ অবৈধ। দল তার সিদ্ধান্ত নেবে। আপনারাও আপনাদের সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে আপনারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমি তার সঙ্গেই থাকবো।’