Image description
 

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ আশা প্রকাশ করেছেন যে, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ‘রেকর্ড সংখ্যক’ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক উপস্থিত থাকবেন। তিনি এ নির্বাচনকে দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রার পুনঃসূচনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

 

শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে গুলশানের একটি হোটেলে ‘এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস’ আয়োজিত একটি কর্মশালায় তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘সাধারণত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসেন, এবারও আমরা আশা করছি, রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক আসবেন।’

ইসি সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘এবারের নির্বাচন সবার জন্য বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুনর্নির্মাণের অংশীদার হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে। নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসা শুরু করবেন এবং তারা নিজেদের আবেদন দূতাবাসের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠাতে পারবেন, যা যাচাই-বাছাই করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’

তিনি স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়েও কথা বলেন এবং উল্লেখ করেন যে, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে যারা পর্যবেক্ষক হিসেবে যুক্ত ছিলেন, তাদের গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় তারা এবার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তবে তিনি জানান, ৩০০টিরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে এবং ৮০টি প্রতিষ্ঠান পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করবে, যা আগের তুলনায় অনেক বেশি।

এছাড়া, নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের বয়সসীমা কমিয়ে ২৪ থেকে ২১ বছর করা হয়েছে, যাতে তরুণরা এই দায়িত্ব পালন করতে পারে। তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে, যাতে অভিজ্ঞতার ঘাটতি কাটানো যায়।

ইসি সানাউল্লাহ আরও বলেন, কমিশন নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে অংশগ্রহণমূলক করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে এবং উল্লেখ করেন, ‘এআইয়ের অপব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য এবং ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া নির্বাচন পরিচালনার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে। তবে, সবার সহযোগিতায় ফ্রি ও ফেয়ার নির্বাচন সম্ভব।’

এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস বিভিন্ন দেশের নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য এ কর্মশালাটি আয়োজন করেছে।