Image description

তারেক রহমান এই মুহূর্তে ইতিহাসের এক ক্রুশাল পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আছেন। 
এই মুহূর্তে বাংলাদেশের বহু মানুষ মনে করেন, তারেক আসলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। 
চাঁদাবাজি বন্ধ হবে, দাম কমবে, ল এন্ড অর্ডার ঠিক হবে। 
এইখানে আবার মুক্তিযুদ্ধের পর মুজিবের সাথে তারেকের একটা মিল আমরা দেখি। 


মুজিবের জন্যও মানুষ আকাশ সমান প্রত্যাশা নিয়ে বসেছিলো। যে মুজিব দেশে ফিরলে সব সমস্যার সমাধান হবে। 
অথচ সমস্যা আরো বাড়লো। মুজিবের স্বজন প্রীতি,  দূর্নীতি আর লুটপাটের জবাব মানুষ দিলো ১৫ আগস্ট। মুজিব মরার পর মিষ্টি খেয়ে। 
মুজিব যে সব সমস্যাকে বিরাট হিসেবে দেখাতো, এসব সমস্যার সমাধান করতে জিয়াউর রহমান সময় নিয়েছিলেন মাত্র ১৫ দিন। 
চালের দাম এক ধাক্কায় কমিয়ে নিয়ে আসলেন। 
সিন্ডিকেট ভেঙে দিলেন।
দুর্নীতি কমিয়ে আনলেন। 


যে দেশের হেড অব দ্য স্টেট দুর্নীতি করে না, সেই দেশের সচিবরা দূর্নীতি করতে ভয় পাবে, এটাই স্বাভাবিক।
এবং তিনি বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি স্থাপন করে গেলেন। আরএমজি সেক্টর শুরু করলেন। প্রবাসে কর্মী পাঠানোও উনার অবদান। কৃষি বিপ্লব হলো। 
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সত্যিকারের একজন স্টেটসম্যানই পেয়েছিলেন। তাঁর নাম জিয়াউর রহমান।
তারেক রহমানের সামনে এখন দুইটা পথ। 
এক। দুর্নীতিবাজ তৃণমূল আর জনবিচ্ছিন্ন, ভীতু বুড়ো নেতাদের কথা শুনে নিজেকে দলে জনপ্রিয় করে মানুষের কাছে অজনপ্রিয় করে মুজিবের পথ ধরা। 
দুই। দলের সিনিয়র নেতাদের বিদায় করে তরুণদের সামনে এনে, তৃণমূলের প্রতি কঠোর হয়ে দল চালানো। মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে জিয়াউর রহমানের পথ ধরা। 
মানুষ বোকা না। 
মানুষ দয়ালু না। 


রাজনীতির ভুল মানুষ ক্ষমা করে না। 
যে মুজিব বাংলাদেশের মানুষের চোখের মণি ছিলো, সেই মুজিবকে চোখের শূল বানাইতে বাঙালির তিন বছর লাগে নাই। 
সো, দলের লোকজনের লেন্সে সবকিছু দেখতে থাকলে যে কোন নেতার অবস্থাই মুজিবের মতো হবে। 
তারেক রহমান এমন একটা পয়েন্টে দাঁড়াইয়া আছেন, যেখান থেকে তিনি মুজিবও হতে পারবেন। 
আবার জিয়াও হতে পারবেন। 
আশা করি রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংসে তারেক দলের প্রতি কঠোর এবং সাধারণ মানুষের প্রতি উদার হবেন। 
শুভ জন্মদিন, তারেক রহমান।


খালেদা জিয়ার একটা কথার আমার ভীষণ পছন্দ। 
আওয়ামীলীগের সাথে তুলনা করতে গিয়ে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, 
ওদের হাতে আছে গোলামির জিঞ্জির। আর আমাদের হাতে স্বাধীনতার পতাকা। 
এই স্বাধীনতার পতাকা বিক্রি করেননি বলেই আপনার বাবাকে মাত্র তিন বছরের মাথায় প্রাণ দিতে হয়। 
এই স্বাধীনতার পতাকা বিক্রি করেননি বলেই আপনার মাকে এই বৃদ্ধ বয়সেও জেলে যেতে হয়েছে।
তবুও তারা বাংলাদেশকে কোনদিন বিক্রি করেননি। 


তাদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন বা সমালোচনা ছিলো, বাট বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বতে তারা কখনও আচড় লাগতে দেননি। 
আমরা আশা করি, শুধু দলের পতাকা না, বরং এই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পতাকটাকেও আপনি আপনার বাবা এবং মায়ের মতো করেই পরম মমতায়, অসীম সাহসের সাথে বুকে ধারণ করবেন।
মহান আল্লাহ তাআলা এই পতাকা বহন করার শক্তি আপনাকে দিক।

সাদিকুর রহমান খান