চট্টগ্রামের লালদিয়া টার্মিনাল চুক্তি ‘জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি’ মন্তব্য করে এটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। বিদেশি কোম্পানির হাতে দেশের কোনো বন্দর তুলে না দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টন মোড়ে আয়োজিত ‘চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল ও পানগাঁও নৌ-টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরদের কাছে ইজারা দেওয়ার চুক্তির প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সদস্য সিকদার হারুন মাহমুদসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘমেয়াদি এবং স্পর্শকাতর এই সিদ্ধান্ত নিতে স্বল্পমেয়াদে দায়িত্বে থাকা অন্তর্বর্তী সরকার কেন তাড়াহুড়ো করল? অন্তর্বর্তী সরকার কদিন পর দায়িত্বে থাকবে না, তখন এই চুক্তি নিয়ে যদি কোনো সমস্যা তৈরি হয়, তাহলে এর জবাবদিহি করবে কে? এগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। প্রয়োজন হলে এরকম সিদ্ধান্ত জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার নেবে।
তারা বলেন, বর্তমান সরকারের এমন সিদ্ধান্তে দেশবাসীর মাঝে উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই সরকারের মেয়াদ আর সর্বোচ্চ তিন মাস। কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয়। খুব গোপনীয়তার মাধ্যমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। কেন এই গোপনীয়তা? চুক্তির প্রতিটা বিষয় মানুষের জানার অধিকার আছে। অতি গোপনীয়তা অবলম্বন করে দুই কোম্পানির কাছে সমুদ্র বন্দরকে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এগুলো আমাদের অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ লাইফ লাইন, এই টার্মিনালের সঙ্গে অর্থনীতি জড়িত। অবিলম্বে এই চুক্তি বাতিল করার আহ্বান জানান তারা।