
বরিশালের হিজলা সরকারি ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বরণ করতে এসে সংঘর্ষে জড়িয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুটি পক্ষ। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে চারজন আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় সাবেক ছাত্র হাবিব রাঢ়ীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের নাম জানা যায়নি।
তবে ছাত্রদল নেতাদের ভাষ্য, সংঘর্ষ হয়েছে সাধারণ ছাত্রদের দুই পক্ষে।
হিজলা সরকারি ডিগ্রি কলেজ শাখায় ছাত্রদলের দুটি পক্ষ। এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আল নাহিয়ান শোভন। আরেক পক্ষের নেতা সাংগঠনিক সম্পাদক জিসান দেওয়ান। তাদের মধ্যে শোভন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মনির দেওয়ানের ভাগনে, আর জিসানের বাবা গিয়াস দেওয়ান উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, অনুষ্ঠান চলাকালে শুরুতে কলেজ মাঠে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে তারা ইট-পাটকেল ছোড়া শুরু করলে ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
আল নাহিয়ান শোভনের ভাষ্য, তিনি ও জিসান নবীনবরণ অনুষ্ঠানস্থলে ছিলেন। তখন মাঠে সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে মারামারি হয়। বাইরে বের হয়ে দুই পক্ষকেই শান্ত করেন।
জিসান দেওয়ানের দাবি, মারামারি হয়েছে সাধারণ ছাত্রের দু’পক্ষে। জামায়াত-শিবির এ মারামারিকে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব বলে অপপ্রচার করছে।
কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী সাইদুল জানান, মারামারির খবর শুনে ক্যাম্পাসে গিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত করেন। সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে বিরোধে এই মারামারি হয় বলে শুনেছেন তিনি।
হিজলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামিম হোসেন জানান, ডিগ্রি কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠান চলছিল। এরই মধ্যে ছাত্রদলের দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। তবে সেটা বড় আকারের ছিল না। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করেছে।