Image description

গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) জনসমক্ষে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে বুক ও মাথা থেঁতলে দিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরের পর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

এরপর উত্তাল হয়ে উঠে পুরো দেশ। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জনকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই তথ্য জানায়।

এ ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

শুক্রবার মধ্যরাত সাড়ে ১২টার পর দেওয়া ওই স্ট্যাটাসে তিনি বলেছেন, ‘ছাত্ররা ঘরে ফিরে যায়নি। জুলাই শেষ হয়নি।’

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে হত্যাকাণ্ডে যাদের দেখা যায়, তাদের মধ্যে বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী শনাক্ত হয়েছে। ফলে এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিএনপির ব্যাপক সমালোচনা চলছে। অনেকে এ ঘটনাকে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সময়ের ঘটনাগুলোর সঙ্গে তুলনা করছেন।

প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব এবং পূর্বশত্রুতার জেরে ব্যবসায়ী যুবক সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে পুরান ঢাকার কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।