Image description

ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে তখন উত্তাল সারা বাংলাদেশ। লাখো লাখো মানুষ প্রতিদিন রাজধানী ঢাকা শহরে নেমে পড়েছে। কোটা সংস্কার আর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ক্রমশই গদি টলিয়ে দিচ্ছে শেখ হাসিনার। ২০২৪ সালের ১১ জুলাই। চারদিনের চীন সফর সংক্ষিপ্ত করে ১ দিন আগে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরে এলেন শেখ হাসিনা। গদি হারানোর ভয় নাকি চীনের সাথে বনিবনা না হওয়া? কেন সফরের নির্ধারিত সময়ের আগে হাসিনার ঢাকায় ফেরা? তখনও পক্ষে মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছেন হাছান মাহমুদ। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বললেন, কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অসুস্থ হওয়ায় তড়িঘড়ি করে ঢাকায় ফিরেছেন শেখ হাসিনা। আসলে কি তাই?

চীন থেকে তড়িঘড়ি যে কারণে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা, কিন্তু…

ঢাকা টাইমসের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে ২০২৪ সালের ১১ জুলাই দেশে ফিরেই বিমানবন্দরে উপস্থিত ওবায়দুল কাদের, ডিজিএফআই, এনএসআই মহাপরিচালক এবং পুলিশ প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ওপর ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন শেখ হাসিনা। কী করো তোমরা? কী কাজ তোমাদের? সামান্য এই আন্দোলন দমাতে পার না? আমি কিছু শুনতে চাই না, আমি কিছু বুঝতেও চাই না। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাস্তা ক্লিয়ার চাই। ওবায়দুল কাদেরের দিকে বাঁকা দৃষ্টিতে তাকিয়ে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বললেন শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে তখন পিনপতন নীরবতা। উপস্থিত গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীরা নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে। এ এক অদ্ভুত অন্যরকম পরিবেশ। ফিরতি জবাবে কেউ কিছু বললেন না। অন্য সময়গুলোতে বিদেশ সফর শেষে সচরাচর শেখ হাসিনা যা করেন তার থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত এক রূপ তার। উপস্থিত অনেকেই অবাক হলেন। ভেতরে ভেতরে ভয়ে কাঁপুনি ধরে গেল অনেকেরই।

চীন থেকে তড়িঘড়ি যে কারণে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা, কিন্তু…

তবে কি ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে চলেছেন শেখ হাসিনা? ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে নিজেই আসরে নামবেন? এমন প্রশ্ন তখনই ওঠে। চীন সফরের পর পরই সংবাদ সম্মেলন করে অপ্রাসঙ্গিকভাবে হাসিনা বলেছিলেন, তার চাকরেরই ৪০০ কোটি টাকার সম্পদ আছে। শুনে থ হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশবাসী। আর ওটাই শেখ হাসিনার পতনের শুরু।