Image description

টুডে ডেস্ক 

জুলকারনাইন সায়ের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জগতে এক পরিচিত নাম। অবশ্য ইদানীং তিনি গোয়েন্দা সাংবাদিক বা 'কচুক্ষেতের সাংবাদিক'  নামেই পরিচিতি পেয়েছেন। 

সায়ের  তাঁর ফেইসবুকে একটি অখ্যাত আইডিতে দেয়া স্ট্যাটাস শেয়ার করেছেন। রনি আসফাক নামের আইডিতে লেখা হয়েছে,  

ডাঃ সাব আশা করি দোহার মিটিং ভালো হয়েছে। 
আপনাদের হাইড এন্ড সিক গেইমের হেতু  বুঝলাম না। ট্রেইসিকে কেন ডিসি হয়ে দোহা আসতে হলো? আর আপনাকেই বা কেন এই বয়সে কষ্ট করে দোহা যেতে হলো? মাত্র ৮ জন মেহমান। তাঁরা সরাসরি ঢাকায় আপনার মগবাজার অফিসে গেলে এমন কি হতো? 
যাক, মিটিং এ কি আলাপ হয়েছে জানিনা। ধারনা করি- 
১। কথিত দ্বিতীয় বিপ্লব নিয়ে বিস্তারিত আলাপ হয়েছে। 
২। ইউনুস সাহেব চলে গেলে করনীয় সম্পর্কে আলাপ হয়েছে। 
৩।  এন সি পি র মতো ফার রাইট ইসলামিক পার্টিগুলোকে নিয়ে সম্ভাব্য এলায়েন্স গঠনের ব্যাপারে আলাপ হয়েছে। 
৪। ইলেকশন পেছানো/ বানচাল করা নিয়ে আলাপ হয়েছে। 
কেন যেন মনে হচ্ছে একটা বিষয় বাদ পড়েছে। যারাই আপনাদের পরিকল্পনায় বাগড়া দেবে তাদের কিভাবে ভারতের দালাল বানাবেন সে ব্যাপারে একটা ডিটেইল প্ল্যান নিলে ভালো হতো।  


যাক ডাঃ সাব, যত পরিকল্পনাই করেন না কেন আপনাকে পাবলিকের কাছে যেতেই হবে। বে অফ বেঙ্গলে ইউ এস এর চান্স স্লিম। চায়না বহু আগে লোকজনকে জানিয়ে দিয়েছে বে অফ বেঙ্গল এক্সিট ইজ নন নেগোশিয়েবল। আপনার বন্ধুরা হারবে। আপনাদের এবান্ডান করে পালাবে। গায়ের জোরে যদি কিছু করতে যান, আমাদের আম জনতা হয়তো কিছু দিন সাফার করবে। কিন্তু তাঁরা আপনাদের উৎখাত করবেই। 
আর হ্যাঁ নেক্সট বার দোহা গেলে জানাবেন। ভালোভালো জিনিস রেকমেন্ড করবো। আমার কাছে শেরাটনের চেয়ে হিলটন ভালো লেগেছে। খরচ কম। সকালের নাস্তাও বেশ ভালো।

মজার ব্যাপার হচ্ছে ফ্যাসিষ্ট সাংবাদিক হিসেবে সুপরিচিত  নবনীতা চৌধুরী দুদিন আগে জানিয়েছিলেন  জামায়াত আমীর ডা শফিকুর রহমান    কাতার যাচ্ছেন। আসলে  তিনি গতকাল ও আজ শনিবার ঢাকাতেই আছেন । খোঁজ নিয়ে জানা যায় তিনি সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের সভাপতি জাকিউল হকের ঢাকায় অনুষ্টেয় জানাজায় অংশ নিয়েছেন (ছবি যুক্ত ) । এনিয়ে শিবিরের কেন্ত্রিয় নেতা মুহাম্মাদ নাইম লিখেছেন, 

সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশে ডারতীয় স্ট্যাবলিশমেন্টের খেলা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
দিন কয়েক আগে স্বীকৃত ডারতীয় এজেন্ট নবনীতা চৌধুরী একটি ভিডিও বানিয়ে বললেন, জামায়াতের আমির ২৭ তারিখ কাতার যাচ্ছেন করিডোর নিয়ে আলোচনা এবং নির্বাচন বানচাল করতে। আজকে বিখ্যাত অনুসন্ধানী সাংবাদিক ‘নিউজ’ দিচ্ছেন, জামায়াতের আমির এখন কাতারেই অবস্থান করছেন এবং আমেরিকাসহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন।
কিন্তু বাস্তবতা হলো—জামায়াতের আমির দেশের বাইরে গেলে সিনিয়র নায়েবে আমির ভারপ্রাপ্ত আমির হন। গতকাল নিজের চোখে জামায়াতের আমিরকে বাংলাদেশেই দেখেছি। কিছুক্ষণ আগেও জাকি ভাইয়ের মৃত্যুতে তিনি হসপিটালে গেলেন। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে—এরা এসব মিথ্যা, বানোয়াট কনস্পিরেসি থিওরি তৈরি করে আসলে কী বার্তা দিতে চাইছে?
তাদের উদ্দেশ্য হতে পারে—
১. ইউনুস ও জামায়াতকে বিতর্কিত করা।
২. করিডোর ও বন্দর ইস্যুতে জনমনে সন্দেহ ও অবিশ্বাস সৃষ্টি করা।
৩. পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্রুত নির্বাচন আদায় করা—যাতে সংস্কারের চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং ভারত তার হেজিমনি টিকিয়ে রাখতে পারে।
যে ফাঁদ তৈরি করা হচ্ছে, সেই ফাঁদ থেকে দেশ, বিএনপি, জামায়াত— কেউ-ই নিরাপদ নয়।
(এই ছবিটা আজকে কিছুক্ষণ আগের তোলা)