
বেনাপোল সীমান্তের গ্রাম পুটখালী। গ্রামে মরুভূমির জাহাজ উটের খামার গড়ে আলোচনায় আসেন ‘গোল্ড নাসির’ নামে পরিচিত জনৈক নাসির উদ্দিন। তার খামারে রয়েছে সাতটি উট। ইতোমধ্যে একটি বিক্রি হয়েছে ২৬ লাখ টাকায়। এরপরই দেশজুড়ে ভাইরাল হয়ে পড়ে তার উটের খামার। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ তার খামারে ছুটে আসছে উট দেখার জন্য। কেউ কেউ উটের পাশে দাঁড়িয়ে টিকটক করছে। বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। তারা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে কীভাবে কোন পথে উটগুলো বাংলাদেশে এলো। সম্ভাব্য বিপদের আশঙ্কা করে উটগুলো বিক্রির জন্য চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্তবর্তী পুটখালী গ্রামের মৃত বুদো শিকদারের ছেলে নাসির উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্ত্র ও সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। এ কারণে এলাকাবাসীর কাছে তিনি ‘গোল্ড নাসির’ নামে পরিচিত। উটের খামার গড়ে সম্প্রতি আলোচনায় আসেন তিনি।
খামারের ম্যানেজার আল আমিন জানান, নাসির উদ্দিন প্রায় এক বছর আগে সৌদি আরব থেকে সাতটি উট আমদানি করেন। তবে স্থানীয়দের দাবি, সৌদি আরব থেকে এসব উট আনা হয়নি। ভারতের রাজস্থান থেকে উটগুলো চোরাইপথে এনে খামারে তোলা হয়েছে। কারণ সীমান্তের ইছামতী নদীর ওপারে ভারত। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্থানীয় এমপির সঙ্গে তার বিশেষ সখ্য থাকায় সে গোল্ড, অস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কারবারে জড়িয়ে পড়ে।
শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তপু সাহা বলেন, উটগুলো আসলেই সৌদি আরব থেকে আনা হয়েছে কি না, তা যাচাইয়ের জন্য একাধিকবার খামারের মালিকের খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। একই কথা বলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুল হক। তিনি বলেন, উট আমদানির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সাধারণত এ ধরনের প্রাণী বিদেশ থেকে আনতে হলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে হয়।
খামারের মালিক নাসির হোসেনের বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, উটের খামারের বিষয়ে কোনো অসংগতি থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।