
জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, আমরা ২০২৪ সালের জুলাই-আগষ্ট রাজপথে গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিলাম। বুলেটের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, এবার ব্যালটের বিপ্লবের জন্য আরেকবার বুকের সামনে গুলি ধারণ করে প্রতিহত করবোই।
শনিবার (৩১ মে) সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামীর জেলা পর্যায়ের কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, পুরান পাগলের ভাত নাই নতুন পাগলের আমদানি। আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশ। সবার আগে বাংলাদেশ বলেন, কিন্তু সেই বাংলাদেশের সেই কিশোরগঞ্জের এক নেতার বক্তব্যে শোনা যায়, তিনি সবার আগে বাংলাদেশ নয়, তিনি সবার আগে একটা পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্বের কথা বলেন। এই বক্তব্য অব্যাহত রাখলে আলেম-ওলামা আপনাকে প্রতিহত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
ড. মাসুদ বলেন, আমি একজনকে বলেছিলাম, ওনার বক্তব্য বন্ধ করা উচিত। বললো- না, মাাসুদ ভাই ওনার বক্তব্য চলতে দেওয়া উচিত। বললাম কেন? বললো- উনি যত বক্তব্য দিবে ওই দল শেষ হওয়ার পথে তত ত্বরান্বিত হবে। আমি বললাম ভাই, তাহলে ঠিক আছে, ওনার বক্তব্য চলুক। কিন্তু আমি বললাম ঠিক আছে ওনার বক্তব্য চলুক। কিন্তু ওনার বক্তব্যের কারণে চলতে-চলতে পদত্যাগ করতে-করতে যেন ওনার আবার দেশত্যাগ করতে না হয়।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের এই নেতা আরো বলেন, দেশটা আমাদের সকলের সবাই মিলে এই দেশটা গড়তে চাই। বিগত ৫৩ বছরে এই বাংলাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত। এই দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এই বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে অপসংস্কৃতির ছায়াতলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী দ্বীন কায়েমের লক্ষ্যে আল কোরআনের আদর্শে মদিনা মডেলে বাংলাদেশ গড়ার সিদ্ধান্ত নিই।
সমাবেশে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, এই কিশোরগঞ্জ থেকে যে কয়টি আসন আছে সেই আসনগুলোতে বিজয় নিশ্চিত করার জন্য ঘুম বাদ দিয়ে, বিশ্রাম বাদ দিয়ে আজ থেকে কোরআনের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার জন্য সবাই রাজি আছেন কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে উপস্থিত সবাই হাত তুলে সমর্থন জানান।
কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মো. মুজিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন—কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, সাংগঠনিক সেক্রেটারি ড. মাওলানা সামিউল হক ফারুকী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা নাজমুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ডা. কর্নেল (অব.) জেহাদ খান, সাবেক জেলা নায়েবে আমির মোসাদ্দেক আলী ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর উত্তরের মজলিসে শুরা সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রোকন রেজা শেখ, জেলা প্রচার সেক্রেটারি শামসুল আলম সেলিম, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি খালেদ হাসান জুম্মন, সদর উপজেলার আমির কারী নজরুল ইসলাম এবং জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসান আল মামুন।