
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বাংলাদেশের মৌলিক যে অর্গানগুলো, এগুলো কিন্তু ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’
গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, মানুষের মৌলিক অধিকারকে হরণ করে নেওয়া হয়েছে। এরপরে মানুষের জীবনের নিরাপত্তাকে অনিশ্চিত করে দেওয়া হয়েছে।’
‘খুন, গুম, আয়নাঘর তৈরি করে বিরোধী দলের বিরোধী মতের লোকদের ওপর যে জুলুম, নির্যাতন এবং হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে, এটা কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত তারা স্থাপন করেছে।’
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যেই আপনারা লক্ষ্য করেছেন, আমাদের নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের ফুল বেঞ্চ সকল মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন এবং এই ট্রাইব্যুনালে যে বিচার করা হয়েছে, এই বিচারকে একটি ন্যায়ভ্রষ্ট বিচার এবং এই বিচার প্রক্রিয়াটাকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের ছাত্রসমাজ যেভাবে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সেই ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। এখন নতুন বাংলাদেশে আমরা কি সেই ফ্যাসিবাদী আমলের সব জিনিসকে রেখেই আমরা নির্বাচন করব? তাহলে আর মানুষের জীবন দেওয়ার দরকার কি ছিল? মানুষের রক্ত দেওয়ার কি দরকার ছিল? এ কারণে শুরুর দিক শুরু থেকেই আমরা এ কথা বলে এসেছি।’
‘প্রথমত, এই গণহত্যার বিচার করতে হবে। আমার মনে হয়, এই পয়েন্টে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের কারোর শেখ হাসিনাসহ এই গণহত্যাকারীদের বিচারের ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নাই। দ্বিতীয়ত, ফ্যাসিবাদের দোসর যারা আছে, ফ্যাসিবাদকে সহযোগিতা করেছে, সরকারের ভিতরে যারা যারাই থাকুন না কেন, তাদেরকেও চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদেরকেও বিচারের মুখোমুখী করতে হবে।’
জামায়াত নেতা মাওলানা রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন প্রশাসনের মধ্যে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার একটা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এটা কিন্তু আসলে এই ফ্যাসিবাদের লোকেরাই এই কাজটা করছে। এখন এখন তো আর ফ্যাসিবাদ নাই, কিন্তু ফ্যাসিবাদের এই লোকেরা তো আছে। তারা এখন নানান জায়গার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে, বিচার করতে হবে।’
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=0MCJhBOduVE