Image description

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর পল্টনে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে শুরু হওয়া ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘যারা ৫২-এর আন্দোলন করেছিলেন তারা প্রতিষ্ঠিত সরকার এবং বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। একদিকে নিজের মায়ের ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে নিরস্ত্র মানুষ, আরেকদিকে জনগণের টাকায় কেনা সশস্ত্র পুলিশ ও সেনাবাহিনী। কিন্তু আন্দোলনকারীরা পিছাননি।’

 
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘চব্বিশের আন্দোলনেও আমরা একজন ছোট বোনকে দেখেছি, সম্ভবত তিনি বলেছিলেন- পেছনে পুলিশ সামনে স্বাধীনতা। আরও বলেছিলেন লড়েই যাবো, মরেই যাব, মেরেই যাব। বোনটার নাম সানজিদা চৌধুরী। স্যালুট বোন তোমাকে, স্যালুট। তোমার মধ্যে বায়ান্ন এবং একাত্তরের তেজ আছে। তোমার মতো বোন ও ভাইদের অনেক প্রয়োজন।’
 
তরুণদের অবদান ভোলার নয় উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘এরা একেকজন এক একটি জীবন্ত ইতিহাস। এই সৌভাগ্য সবার হয় না। সেই ইতিহাসকে স্মরণ করা যেমন দায়িত্ব, তেমনি এখান থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিপ্লবী হওয়ার শিক্ষা নেয়াও কর্তব্য।’
 
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের বিষয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘আজ সামান্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হচ্ছে। এতে তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। বায়ান্ন শেখায়, যেখানে অন্যায় সেখানে প্রতিবাদ। আর যেখানে সন্ত্রাস ও ফ্যাসিবাদ সেখানেই প্রতিরোধ।’
 
তিনি বলেন, ‘মানুষ কিংবা দল হিসেবে আমরা কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে নই। তাই আমাদের ভুল হলে আলোচনার মাধ্যমে সমালোচনা করবেন।’